সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ


কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ঘটনা ও পরবর্তী মোবাইলে ভিডিও চিত্র ছড়ানোয় ধর্ষিত বিউটি (২৫) আত্মহত্যার মামলায় পুলিশ এখনও কাউকে আটক করতে পারেনি। লম্পট স্বামীর লম্পট বন্ধুদের ধর্ষণের শিকার বিউটি গত শুক্রবার রাত ৯টায় ক্ষোভে-লজ্জায় নিজের শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঝিনাইদহ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। পর দিন শনিবার ধর্ষিতার ভাই মিঠুন বাদী হয়ে কালীগঞ্জ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।



কালীগঞ্জ উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলামের মেয়ে বিউটির ভাই মিঠুন জানান, ২০১০ সালে পার্শ্ববর্তী কালীগঞ্জের কেয়াবাগান গ্রাামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে মিঠুর সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য
মিঠু তার স্ত্রী বিউটিকে প্রায়ই মারধরসহ বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করত। এভাবে প্রতিনিয়ত নির্ষাতনের এক পর্ষায়ে গত দেড় বছর আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে বিউটি তার বাবার বাড়ি চলে আসে। কিন্তু গত ২ মাস আগে মিঠু আবার বিউটিকে ফুঁসলিয়ে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায় এবং কয়েক দিন রাখার পর জোর করে তাড়িয়ে দেয়ার কথা বলে কোলাবাজারে নিয়ে যায়।। বিউটি এবং দেড় বছরের শিশু ছেলে হৃদয়ের গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করার ভয় দেখিয়ে বিউটিকে ব্ল্যাক মেইল করে। মিঠু সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে তার লম্পট ৬ বন্ধুকে দিয়ে বিউটিকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও মোবাইলে ধর্ষণ চিত্র ভিডিও করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। বিউটি বাবার বাড়িতে এসে লজ্জায় ঘটনাটি পরিবারের কাউকে না বলে সারাক্ষণ উদাসীন মনে চলত এবং সারাদিন কান্নাকাটি করত। ৫ দিন আগে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ছড়ানোর বিষয়টি বিউটির পরিবার জানতে পারে। তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে পুরো ঘটনাটি খুলে বলে। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ থানায় ৯(খ) ৩০ ধারায় মামলা হয়েছে। মামলার আসামিরা হলো বিউটির শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামী মিঠু। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা সবাই পলাতক রয়েছে। গতকাল কালীগঞ্জ থানার পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের শনাক্ত বা আটক করতে পারেনি।
মিঠুন আরও জানান, বিউটি তার ভিডিও চিত্র ছড়ানোর ঘটনা জানার পর লজ্জায়-ক্ষোভে গত শুক্রবার রাতে নিজ ঘরের বাঁশে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। পর দিন তার ভাই মিঠুন থানায় একটি মামলা করেন। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মনির উদ্দিন মোল্লা জানান, ভিডিও চিত্র ছড়ানোয় লজ্জা-অভিমানে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে পারে। ঘটনায় জড়িত আসামিদের আটক করতে জোর অভিযান চালানো হচ্ছে।
এ মামলার তদন্তকারী অফিসার মুজিবর রহমান জানান, ধর্ষণের ভিডিও চিত্রের কারণে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছে।

বাংলা নিউজ 26.com রাহিম


কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন