শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

সংক্রামক যৌনরোগ এড়িয়ে চলুন, সুস্থ থাকুন

সংক্রামক যৌনরোগ এড়িয়ে চলুন, সুস্থ থাকুন

253ঢাকা : যে সমস্ত
রোগ জীবাণু দ্বারা হয় এবং নারী-পুরূষের দৈহিক মিলনের মাধ্যমে ছড়ায় সেগুলিই সংক্রামক যৌনরোগ। গ্রীক প্রেমের দেবী ‘ভেনাস’এর নামানূযায়ী সংক্রামক যৌনরোগগুলিকে ডাক্তারী ভাষায় অতীতে ‘ভেনারিয়েল ডিজিজ (ভিডি)’ বলা হতো। সম্প্রতি এ নামটি পরিবর্তন করে এটাকে নতুন নামকরণ করা হয়েছে -’সেক্সচুয়ালী ট্রান্সমিটেড ডিজিজ(এসটিডি) বা সংক্রামক যৌনরোগ’। অতি আধুনিকতা, নৈতিক অবক্ষয় ও অন্যান্য নানাবিধ কারণে মারাত্বক সংক্রামক যৌনরোগগুলি সারাবিশ্বেই দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুঃখজনক হলেও একথা সত্য যে, বাংলাদেশে এখন নিন্মবিত্ত, মধ্যবিত্ত এবং উচচবিত্ত সব সমাজেই যৌনউচ্ছৃঙ্খলতা আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। পতিতাবৃত্তি এবং বিদেশে আসা-যাওয়াও বহুগুনে বেড়েছে। আর সেইসাথে আশংকাজনকভাবে বাড়ছে মারাত্বক সব সংক্রামক যৌনরোগগুলিও। আর আমাদের দেশে অজ্ঞতা, অশিক্ষা, দারিদ্রতা ও কুসংস্কারের কারণে এরোগগুলি আরো বেশী বৃদ্ধি পাচ্ছে, চিকিৎসা না করে রোগ পুষে রাখার কারণে। অথচ অধিকাংশ কমন সংক্রামক যৌনরোগেরই আজকাল খুব ভাল চিকিৎসা রয়েছে।
কি দ্বারা হয় ঃ সংক্রামক যৌনরোগ বিভিন্ন জীবাণু দ্বারা হয়ে থাকে। জীবাণুগুলি আবার ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, প্রোটোজোয়া, ক্লামাইডিয়া, প্যারাসাইট ইত্যাদি বিভিন্ন জাতের হতে পারে। একেক জাতের একেকটি জীবাণু শরীরে প্রবেশ করে একেকটি নির্দিষ্ট নামের রোগ সৃষ্টি করে।
কিছু উদাহরণ ঃ প্রচুর সংক্রামক যৌনরোগ রয়েছে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- সিফিলিস, গনোরিয়া, স্যানক্রয়েড, গ্রানুলোমাইনগুইনালী, লিমফোগ্রানুলোমাভেনারিয়াম, হারপিস প্রোজেনিটালিস, ট্রাইকোমোনিয়েসিস, ক্যান্ডিডিয়েসিস, এইডস ইত্যাদি ।
কিভাবে হয় বা ছড়ায় ঃ সংক্রামক যৌনরোগগুলি সাধারণত নারী-পুরুষের যৌনমিলনের মাধ্যমে একজনের দেহ হতে অন্যজনের দেহে প্রবেশ করে। এই সকল রোগের জীবাণুু বহনকারী যে কোন নারী বা পুরুষের সাথে যেই মিলিত হবে, তারই ঐ জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হবার সম্ভবনা থাকবে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেও যদি যে কোন একজন এসব জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হন, তবে অপরজন বিনাদোষেই নিজের অজান্তে এ ধরনের জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে যেতে পারে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, যৌন সংক্রামক রোগগুলি প্রধানতঃ যৌনমিলনের মাধ্যমেই ছড়ায়, তবে কিছু ব্যতিক্রম আছে, যেমন- রক্তসঞ্চালন, ইনজেকশনের সিরিঞ্জ ইত্যাদির মাধ্যমেও এ সমস্ত রোগ ছড়াতে পারে। ব্যবহৃত জিনিসপত্র এবং কাপড়-চোপড়ের মাধ্যমেও কিছু ক্ষেত্রে কোন কোন রোগ ছড়াতে পারে।
যৌন সংক্রামক রোগের লক্ষণ ঃ একেকটি সংক্রামক যৌনরোগের লক্ষণ একেক রকম। তাই, সবগুলি রোগের লক্ষন এখানে পৃথকভাবে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। তবে একথা বলা যায় যে, সংক্রামক যৌনরোগ হলে, অধিকাংশ নারী-পুরুষের ক্ষেত্রেই লক্ষণসমূহ নি�েœাক্ত তিন ধরনের মধ্যেই হয়ে থাকে। সেগুলি হল-
১. যৌনাঙ্গ বা তার আশে-পাশের ত্বকে দানা, গোটা, ঘা, ফোলা, ব্যাথা, চুলকানী ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন।
২. পুরুষের বেলায় প্র�্রাবের নালীতে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে প্র�্রাবের নালী এবং যোনীপথ এ দু’টির যে কোন একটি অথবা একই সাথে উভয়টিতে জ্বালা-পোড়া, ব্যথা-চুলকোনী ইত্যাদি।
৩. পুরুষের বেলায় প্রস্রাবের নালী দিয়ে আর মেয়েদের বেলায় প্র�্রাবের নালী এবং যোনীপথ এ দু’টির যে কোন একটি বা উভয়টি দিয়ে পুঁজ বা পুঁজ জাতীয় কোন তরল পদার্থ বের হওয়া। এখানে কয়েকটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, তাহলো –
এক; একই সাথে একের অধিক সংক্রামক যৌনরোগে আক্রান্ত হলে লক্ষণ ও একই সঙ্গে বিভিন্ন রকম পাওয়া যেতে পারে। দুই; একই রোগের লক্ষণ সবার ক্ষেত্রে একই রকম নাও হতে পারে। তিন; কিছু কিছু সংক্রামক যৌনরোগ পুরুষের বেলায় এবং কিছু সংক্রামক যৌনরোগ মহিলাদের বেলায় তেমন কোন কষ্ট বা লক্ষণ সৃষ্টি করে না। যা নিজের এবং মিলন সঙ্গী/সঙ্গীদের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। কারণ, সমস্যা না থাকায় রোগী চিকিৎসার প্রয়োজন অনুভব করে না। ফলে, সে নিজেও মনের অজান্তে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হতে থাকে এবং মিলন সঙ্গী/সঙ্গীদেরকেও এরোগ ছড়াতে থাকে। এ অবস্থায়, ল্যাবরেটরী পরীক্ষাই রোগ নির্ণয়ের প্রধান উপায়।
চিকিৎসা: সংক্রামক যৌনরোগের চিকিৎসা এবং এর ফলাফল সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে কি জাতীয় জীবাণু দ্বারা রোগটি হয়েছে তার উপর। বর্তমানে একমাত্র ভাইরাস ছাড়া অন্যান্য সকল জীবানু (যেমন- ব্যাকটেরিয়া, ফাংগাস, প্রোটোজোয়া, ক্লামাইডিয়া, প্যারাসাইট ইত্যাদি) দ্বারা সৃষ্ট রোগই শতকরা একশতভাগ নিরাময় যোগ্য। শুধু ভাইরাস দ্বারা সৃষ্ট রোগ (যেমন-এইডস্) এখনও পূর্ণ নিরাময়যোগ্য নয়। আমাদের দেশে যে যৌনসংক্রামক রোগগুলি সবচেয়ে বেশী হয়, তার অধিকাংশই পূর্ণ নিরাময়যোগ্য। তবে, উপযুক্ত ওষুধ এবং ওষুধের পূর্ণ কোর্স করা এর পূর্বশর্ত। যদি ভুল ঔষধ ব্যবহার করা হয় অথবা সঠিক ওষুধই পরিমাণমত এবং নিয়মিত ব্যবহার করা না হয়, তবে শরীরের ভিতর জীবাণু সুপ্ত অবস্থায় থেকে যেতে পারে, যার সুদূরপ্রসারী প্রতিক্রিয়া পরবর্তী জীবনে ভয়াবহ পরিনতির সৃষ্টি করতে পারে। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, পুরূষ বা মহিলা বন্ধাত্বেরও অন্যতম কিছু কারণ হচেছ, যৌনসংক্রামক রোগ।
উপদেশ: যৌনসংক্রামক রোগ হয়েছে বলে কোন প্রকার সন্দেহ দেখা দিলে, জীবনের ঝুঁকি না নিয়ে একজন উপযুক্ত যৌনরোগ বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে তা মিটিয়ে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। উল্টোদিকে, তা পুষে রাখলে, নিজেও ক্ষতিগ্রস্থ হতে হয় এবং অন্যদের শরীরে ছড়িয়ে পারিবারিক বা সামাজিক ক্ষতিও করা হয়। লাজ-লজ্জা, ভয়-ভীতি ইত্যাদি সঠিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমাদের দেশে এক বিরাট বাধা, যা রোগীর নিজ স্বার্থেই ত্যাগ করা উচিৎ। কারণ, জীবাণু লাজ-লজ্জা, ভয়-ভীতির অজুহাতে ঘুমিয়ে থাকবে না। বরং সে তার ধ্বংসাত্বক কার্যকলাপ সংগোপনে শরীরের ভিতরে চালিয়ে যাবে, যতদিন না উপযুক্ত চিকিৎসার মাধ্যমে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

এটা জাতীয় নির্বাচন নয়, জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের: এরশাদ

এটা জাতীয় নির্বাচন নয়, জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের: এরশাদ

ershad-sbগাইবান্ধা : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, এই নির্বাচন কোনো জাতীয় নির্বাচন নয়। এ নির্বাচন জনপ্রিয়তা যাচাই-বাছাইয়ের নির্বাচন।
আজ শুক্রবার বিকেলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফলগাছা মনিরাম গ্রামে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দ্যূত এরশাদ বলেন, দলের লাভ হবে না একাধিক প্রার্থী হলে। তাই চিন্তাভাবনা করে একক প্রার্থী মনোনীত করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদটি ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনের জন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নিতে হবে। দলকে শক্তিশালী করতে তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে এরশাদ বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে দুর্বল সংগঠন ও দলীয় কোন্দল থাকায় গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমরা অনেক কিছুই হারিয়েছি। কিন্তু হতাশ হবার কারণ নেই। যে নির্বাচন হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন।

প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন যে বিষয়গুলো

প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে অবশ্যই মনে রাখবেন যে বিষয়গুলো

254 
আপনি কি একা? প্রেমিকা খুঁজছেন মনে মনে? প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত কিছু বিশেষ বিষয়। কারণ আপনার ভবিষ্যত জীবন সঙ্গী নির্বাচনে যদি আপনি তাড়াহুড়া করেন, তাহলে নিঃসন্দেহে বেশ বড় বিপদে পড়তে পারেন। কিছু বিশেষ বিষয়ের দিকে লক্ষ্য রেখে প্রেমিকা নির্বাচন না করলে নানান রকম সমস্যা সৃষ্টি হবে প্রতিনিয়ত। আসুন জেনে নেয়া যাক প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে কী কী বিষয় লক্ষ্য রাখা উচিত সে সম্পর্কে।

শুধু মাত্র সৌন্দর্য দেখবেন না

অধিকাংশ পুরুষই প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সৌন্দর্যটাকে খোঁজে। আর এই সৌন্দর্যের খোঁজ করতে করতে যখন একজন সুন্দরী নারী মিলে যায় তখন ভালো খারাপ বিবেচনা ছাড়াই হুট করে প্রেম করে বসার মত ভুল করে অনেকেই। আর সেখান থেকে শুরু হয় ভোগান্তির সূত্রপাত। তাই প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রূপ দেখে বিগলিত না হয়ে অন্যান্য যোগ্যতা গুলোও দেখুন।

আদর্শের মিল

প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুজনের মতাদর্শের মিল খুজুন। নিজেদের আদর্শ ও মূল্যবোধের যায়গাটি একরকম না হলে জীবনে নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাই প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজেদের আদর্শের মিল খুজুন। আদর্শের মিল না থাকলে সেই সম্পর্ক থেকে দূরে থাকাই ভালো।

ভেবে নিন জীবন কাটাতে পারবেন কিনা

একটি সম্পর্কে জড়ানোর আগে একাধিকবার ভেবে দেখুন যে আপনি সেই সম্পর্কটিতে সারা জীবন থাকতে পারবেন কিনা। একটি প্রেমের সম্পর্ক শুরু করা মানে সারা জীবনের পরিকল্পনাকে মাথায় রেখে সামনে এগিয়ে যাওয়া। এমন সম্পর্কে জড়ানো উচিত না যেটাকে দীর্ঘমেয়াদি করে তোলা সম্ভব না। তাই প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভেবে নিন তাকে আপনার জীবন সঙ্গীর মর্যাদা দিতে পারবেন কিনা এবং তার হাত ধরে সারা জীবন কাটাতে পারবেন কিনা।

পরিবারের মিল

দুটি মানুষের পরিবারের মিল না থাকলে সম্পর্ককে বেশিদিন এগিয়ে নেয়া যায় না। এখানে ‘মিল’ বলতে বোঝানো হয়েছে যোগ্যতা, আর্থিক অবস্থা, সংস্কৃতি, সামাজিক মর্যাদা ইত্যাদিকে। প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের পরিবারের সঙ্গে প্রেমিকার পরিবারের সামঞ্জস্যের বিষয়টি বিবেচনা করুন অবশ্যই।

বন্ধুদের দ্বারা প্রভাবিত হবেন না

অনেক সময় অনেকে বন্ধুদের প্ররোচণায় হুট করে প্রেমিকা নির্বাচন করে ফেলে। কিন্তু পরবর্তিতে সেই সম্পর্ক নিয়ে বেশ জটিলতায় ভোগে। এধরনের ভুল করা একেবারেই উচিত নয়। কারণ আপনার জীবনের এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আপনার বন্ধুদের নেই। প্রেমিকা নির্বাচনের ক্ষেত্রে নিজের বিচার বুদ্ধিকে অগ্রাধিকার দিন সব সময়।
banglanews26.com/ঢাকা


আজকের রাশিফল: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

আজকের রাশিফল: ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪

rashifol 
 
মেষ (মার্চ ২১-এপ্রিল ১৯): দিনটা সুখবর দিয়েই শুরু হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। নতুন কর্মক্ষেত্রের সন্ধান মিলতে পারে, দিনের শুরুতেই অপ্রত্যাশিতভাবেই কারো
কাছ থেকে অর্থপ্রাপ্তি ঘটবে। তার মানে সকালবেলা অতিথির মুখ দর্শন অবধারিত। প্রেম ভালোবাসার যোগ থাকলেও আগামী দিনের জন্য অপেক্ষা করাই ভালো। সেক্ষেত্রে মনের মানুষ বাছাই করতে তাড়াহুড়ো না করে ধৈর্য্য ধারণ করে সিদ্ধান্ত নেয়া উত্তম হবে।
বৃষ (এপ্রিল ২০- মে ২০): দিনের শুরুটা করুন ভেবেচিন্তে। অতিরিক্ত কাজের চাপে হয়রান হয়ে পড়া থেকে মুক্তি পেতে কিছু সময় বিশ্রাম নিতে পারেন। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা হতে পারে, তবে স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন থাকলে স্বাস্থ্যহানি এড়িয়ে যাবেন। তবে মনে রাখবেন, অতিরিক্ত কাজের চাপ আপনার শত্রু। স্বাস্থ্যের জন্য দিনটি শুভ না হলেও প্রেমের সম্পর্কে দখিনা হাওয়া লাগছে দেখি। আর এজন্য মেষ রাশির জাতককেই সাহস সঞ্চয় করে এগিয়ে আসতে হবে। ভয়-শঙ্কা কাটিয়ে মনের মানুষকে মনের কথাটি বলতে পারলেই কেল্লাফতে। কর্মক্ষেত্রে আপনি নিজেই চালকের আসনে। নিজের যোগ্যতা আর অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগালে উন্নতি হবে।
মিথুন (মে ২১- জুন ২০): হাত-পা তার সঙ্গে অবশ্যই মনটাও শক্ত করে আর মগজটাতে আইসব্যাগ নিয়ে অফিসে যাবেন। সকালবেলা অফিসে পা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই রাজ্যের সব সমস্যা চেপে ধরতে পারে। ঘাবড়াবেন না এক কাপ ধোঁয়া ওঠা চা বা কফিতে চুমুক দিতে দিতে সহকর্মীদের সঙ্গে পুরো দিনের কাজের পরিকল্পনা করতে পারেন। এতে বাড়তি চাপ কমবে। স্বস্তির ব্যাপার হলো, এসব সমস্যা সমাধানে আপনার রয়েছে যথেষ্ট প্রাণশক্তি। তবে মনের মানুষের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আজ আপনার নক্ষত্র কিছুটা ম্লান। প্রিয়জনের সঙ্গে অহেতুক ঝামেলা তৈরি হলে অস্থির হয়ে সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ না নিয়ে সময় নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
কর্কট (জুন ২১- জুলাই ২২): মিথুন রাশির নক্ষত্রের মতো আজ ম্লান নয় কর্কট রাশির নক্ষত্র। আজ সাধ আর সাধ্যের সমন্বয় হতে পারে। কিন্তু তাই বলে অফিস থেকে দ্রুত বের হয়ে প্রিয়জনের কাছে ছুটে যাবেন না। কারণ তিনি যদি বুঝতে পারে তার দিকে আপনি আজ বাড়তি মনোযোগ দিচ্ছেন তাহলে হিতে হতে পারে বিপরীত। তাকে সারপ্রাইজ দিন। তার জন্য নিয়ে যান বিশেষ কোনো উপহার অথবা দুজনে মিলে যেতে পারেন মুভি দেখতে কিংবা কাছাকাছি কোথাও ঘুরতে। স্বাস্থ্যের দিকে খেয়াল রাখবেন কারণ আপনিও আর ১০টা মানুষের মতোই মানুষ। অতিরিক্ত পরিশ্রমে ক্লান্তিতে অবসাদে আসতে পারে কর্মবিমুখতা। তাই খাদ্যাভ্যাস আর হালকা ব্যয়ামে যদি একটু নজর দেন…।
সিংহ (জুলাই ২৩- আগস্ট ২২): সিংহ রাশির জাতক-জাতিকা হিসেবে সবাই আপনার কাছে আসতে চাইবে এটাই স্বাভাবিক। আর আপনার ব্যক্তিত্ব আর ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে মানুষ অনেক স্বগোতক্তি করতে পারে কিন্তু মনে রাখবেন, অন্যের প্রশংসায় মুগ্ধ হয়ে নিজেকে ভুলে বসবেন না। খুঁৎ খোঁজায় ব্যস্ত  সহকর্মীদের এড়িয়ে চলুন। আর এই চাপের কারণে কাজে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে কিন্তু কেয়ার করবেন না। অন্তত আজকের দিনে একবার হলেও নিজেকে মনে করিয়ে দেবেন যে ভালোবাসা জয় করে নিতে হয়, তা এমনি এমনি পাওয়া যায় না।
কন্যা (আগস্ট ২৩- সেপ্টেম্বর ২২): সবচেয়ে ভালো হয় আপনি নিজে একবার আজকের রোজনামচাটা দেখুন। কারণ আজকের দিনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আপনি ভুলে যেতে পারেন। এমনকি সামাজিক কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের কথাও বেমালুম ভুলে যেতে পারেন। তাই দিনের শুরু থেকেই একটু সাবধানী হলে ক্ষতি কী! আজ আপনার নক্ষত্রের অবস্থান বলছে, প্রিয়জন বিশেষ কিছু উপহার দেবে। সুতরাং মোক্ষম সময়, মনোমালিন্য দূর করতে দিনটিকে বিশেষ দিন হিসেবে ঘোষণা করুন। কর্মক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা দেখা দিতে পারে তবে সমস্যাকে এড়িয়ে না গিয়ে সমস্যার মুখোমুখি দাঁড়ালেই ভালো।
তুলা (সেপ্টেম্বর ২৩- অক্টোবর ২২): সমৃদ্ধি আপনাকে প্রায় ধরেই ফেলেছে। এমন অবস্থায় পিছপা হবেন না যেন। কানের পাশে ফুসমন্তর দেয়ার লোকজন ঝেঁটিয়ে বিদায় করে দিন। প্রেমের ক্ষেত্রে আজ আপনার দৌড় কতটুকু তা টের পাবেন। নিজেও বুঝতে পারবেন, সঙ্গীটিও বুঝে যাবেন। দেখুন কী হয়। কর্মক্ষেত্রে আপনার বিধ্বংসী রূপটি যারা এখনও দেখেনি, তাদের তা দেখিয়ে দিন। সময় এসেছে। অর্থনৈতিক ভাবনা সৃজনশীল কিছুতে মন বসাতে দিচ্ছে না। অথচ তাতেই রয়েছে অর্থযোগ। লেগে থাকুন।
বৃশ্চিক (অক্টোবর ২৩- নভেম্বর ২১): আপনার কাছের মানুষটি কিন্তু শুধু সান্ত্বনা আর সমবেদনায় সন্তুষ্ট নয়, আপনার সক্রিয় সহযোগিতা চাইছে। নির্বিবাদে তার পাশে দাঁড়ান। এটা তার প্রাপ্য। আজ সন্ধ্যায় বন্ধুদের আসরে বেড়াতে গেলে প্রেমের গন্ধ পেতে পারেন। কর্মক্ষেত্র প্রসঙ্গে: মাস্টার অব পাপেট গানটা শুনেছেন? আপনার মনকে বিষিয়ে তুলে নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারে এমন বাজে কেউ সামনে আসবে বলে আভাস মিলছে। বন্ধুর হাতে অর্থনিধন চলবে।
ধনু (নভেম্বর ২২- ডিসেম্বর ২১): আজ বড় কোনো কাজের সিদ্ধান্ত নেয়ার চূড়ান্ত সময়। আপনার আরও ইতিবাচক হওয়া প্রয়োজন। আজ যে আপনাকে ভালোবাসছে সে কাছে এসে বলতে পারে সে কথা। আপনার প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সে সম্পর্কে কিছু বলছে না নক্ষত্র। স্টিভ জবস বলেছিলেন, সক্রেটিসের সঙ্গে একটি বিকেলের বিনিময়ে তিনি তার সমগ্র অর্জন দান করে দিতে পারেন। আজ সক্রেটিসের মতো না হলেও এমনই কোনো ব্যক্তিত্বের সান্নিধ্যে আসতে পারেন আপনি কর্মক্ষেত্রে। যিনি আপনাকে দিতে পারেন এমন অপার্থিব সম্পদ যা সারাজীবন কাজে লাগবে। পারিবারিক কারণে অর্থব্যয় আছে।
মকর (ডিসেম্বর ২২- জানুয়ারি ১৯): আজ পূর্বপরিকল্পনা ভেস্তে যেতে পারে। কিছু করার নেই। প্রেম প্রসঙ্গ: আপনার জন্যে অসম্ভব রকম অনুরাগ পুষে রাখেন এমন একজন আপনার কাছে আসবেন, যিনি কখনও জানতেও দেবেন না আপনার সম্পর্কে তার মনোভাব। এমন চাপা স্বভাবের অনুরাগীদের নিয়ে ভারী বিপদ! কর্মক্ষেত্রে আপনার হাত থেকে ফসকে যেতে পারে কোনো প্রায় বাগিয়ে আনা প্রজেক্ট। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতির মুখোমুখি হোন। অর্থসঙ্কট, পকেট সাবধান!
কুম্ভ (জানুয়ারি ২০- ফেব্রুয়ারি ১৮): আপনার কঠোর পরিশ্রমের কাল প্রায় শেষ হতে চলেছে। এবার আসছে উপভোগের পালা। প্রেম প্রসঙ্গে: আরেকটু মুখর হোন, উচ্ছ্বল হোন। বসন্ত জাগ্রত দ্বারে। কর্মক্ষেত্র থেকে আজ ছুটি নিন। বেড়িয়ে আসুন যদি সম্ভব হয়। সম্ভব না হলে অসুবিধে আছে। সেক্ষেত্রে অসুবিধেটাকে উপভোগ (!) করুন যতটুকু পারা যায়।  দৈব থেকে অর্থাগম হতে পারে। তবে মনে রাখবেন দৈবেরও উদ্দেশ্য থাকে।
মিন (ফেব্রুয়ারি ১৯- মার্চ ২০): আজ দিনে এবং রাতে (দুপুরে নয়, যদি একান্ত ব্যতিক্রম না হয়) সময় খুব প্রসন্ন যাবে। প্রেমের দৌড়ে আপনি ভীতু প্রতিযোগী হয়ে উঠছেন। এটা ঠিক নয়। কর্মক্ষেত্রে ব্যাপক যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। আপনার যোগাযোগ বাড়ান। আজ সে সুযোগ আসতে পারে। কাজে লাগান। অর্থযোগ শুভ।

https://www.facebook.com/banglanews26?skip_nax_wizard=true

ঠোটেই ফুটে ওঠে নারীদের যৌনতা

ঠোটেই ফুটে ওঠে নারীদের যৌনতা



 ঠোটেই ফুটে ওঠে নারীদের যৌনতা নারীরা যখন সেক্সি হয় বা যৌন উত্তেজনা বা কামনায় কাতর হয়ে ওঠে তখন সেটা তার চেহারা ও ঠোঁটে পরিষ্কার দেখা যায়। তখন ঠোঁট দুটো হয়ে ওঠে লাল বা রক্তিম। আর সে কারণেই নিজের সেক্সি ভাব ফুটিয়ে তোলতে মেয়েরা আজকাল লাল লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙায়। অবশ্য এটা কোনো নতুন ফ্যাশন বা ট্রেন্ড নয়। কম বয়স্ক মেয়ে থেকে শুরু করে মধ্য বয়সী অনেক নারীই ঠোঁট রাঙাচ্ছেন লাল রঙে। বলাই বাহুল্য- এ রঙটার ফ্যাশন আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে হিন্দি সিনেমা ও সিরিয়ালের কল্যাণে। ইদানিং কিছু না বুঝেই ঠোঁট রাঙানোটাকে আমাদের নারীরা অনুসরণ করছে। আসলে তারা কি জানে- লাল লিপস্টিকের কি অর্থ? যদি জানতে পারেন- লাল লিপস্টিক আপনাকে কামার্ত মানুষ হিসাবে উপস্থাপন করছে। তবুও কি আপনি সেটা ব্যবহার করবেন? হ্যাঁ, লাল লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙানোর অর্থ হচ্ছে- আমি কামনায় কাতর, এখনই মিলনে আগ্রহী! এটা বৈজ্ঞানিক ভাবেই প্রমানিত। এছাড়াও বহুকাল যাবৎ প্রতিষ্ঠিত ঠোঁটে লাল রঙের এটাই অর্থ। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা অনুসারে, নারী যখন যৌন মিলনের আগ্রহে অধীর হয়ে ওঠে, তখন তার ঠোঁটে রক্ত জমা হয় ও ফলে ঠোঁট হয়ে ওঠে রক্তিম। কেননা নারীর ঠোঁটের সাথে যৌনাঙ্গের অনুভূতির সরাসরি যোগাযোগ আছে। নারীর যৌন উত্তেজনার বাহ্যিক লক্ষণগুলোর মাঝে অন্যতম হচ্ছে ঠোঁট লাল হয়ে ওঠা। অনেক প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ এটা জানত, এটা জানার জন্য বিশাল বিজ্ঞানী হতে হয় না। একান্ত মুহূর্তে এক ঝলক আয়না দেখলেই জেনে যাবেন এর সত্যতা। কৃত্রিমভাবে ঠোঁটে এ লালচে আভা ফুটিয়ে তোলার জন্যই মূলত লিপস্টিক নামক প্রসাধনের আবিষ্কার। প্রাচীন নারীরা নানান রকম ফল, পান, ফুলের রস দিয়ে ঠোঁটকে রক্তিম করে তুলতেন পুরুষকে যৌন মিলনে আগ্রহী করে তুলতে আর নিজেকে যৌনতায় সক্ষম বোঝাতে।
 https://www.facebook.com/
বাংলা নিউজ 26.com 
http://shapnopuron.com/ 
http://khmahabub.com/ 

টানা ৩ ঘণ্টা যৌন মিলনের পর


 টানা ৩ ঘণ্টা যৌন মিলনের পর হাসপাতালে লিজা এবার টানা ৩ ঘণ্টা
 ধরে যৌন মিলনের পর বেচারির ঠিকানা হলো হাসপাতলে। এত দীর্ঘ যৌনসুখ উপভোগ করলেন তিনি। তারপর ওই মহিলাকে ভর্তি হতেহল হাসপাতালে। সিয়াটেলের দম্পতি এরিক ও লিজা যৌনমিলনে লিপ্ত হন। এক ঘণ্টা পর এরিক বিছানা থেকে নেমে কাজে যেতে চাইলেও নিজেকে তখনও সামলাতে পারেননি লিজা। সেক্স সেন্ট মি টু এর নামক একটি টেলিভিশন শো-তে নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা এভাবেই জানান এরিক ও লিজা। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিজা বলেন, এক ঘণ্টা অর্গাজম অনুভব করার পর আমি ওয়াইন খেয়ে চেষ্টা করছিলাম নিজেকে শান্ত করার। সবরকম চেষ্টা করেও ৩ ঘণ্টার আগে শান্ত হতে পারিনি। দুঘণ্টা পরই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান এরিক। কিন্তু সেখানেও অন্তত এক ঘণ্টা লেগেছে তার স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে।
http://banglanews26.com/ 

মোবাইল ফোন ব্যবহারে ১০টি খারাপ অভ্যাস :



কখনো হিসেব করে দেখেছেন দিনে কতবার আপনি আপনার মোবাইল ফোন চেক করেন? মোবাইলে ইন্টারনেট আর স্মার্ট ফোনের ব্যবহার দিনে দিনে আমাদের অসামাজিক করে তুলছে। কিন্তু প্রতি দুই মিনিট পরপর মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে চেক করাটা কেমন দেখায়? আর এটা যদি আপনার অভ্যাসে পরিণত হয় তাহলে বুঝে নেবেন মোবাইল ফোন আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণ করছে। কীভাবে মোবাইল ফোন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছে তা জেনে নিন এবার।

১. ঘুমাতে যাবার আগে ফেসবুক: সামাজিক যোগাযোগের প্রতি আপনার আসক্তি থাকলে আর হাতে স্মার্টফোন থাকলে প্রতি মিনিটে ফেসবুক আপডেট চেক করতে আপনার কোনো বাধা নেই। কে আপনার ছবিতে লাইক দিল বা স্ট্যাটাসে কমেন্ট করলো তা বারবার চেক করা আপনার অভ্যাসই হয়তো হয়ে গেছে। কিন্তু ঘুমাতে যাবার আগে ফেসবুক চেক করার অভ্যাস আপনার শান্তিপূর্ণ ঘুমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে কি না একবার ভেবে দেখুন।

২. খাবারের ছবি তোলা: বন্ধু বা পরিবারের সাথে বাইরে খেতে বসেছেন, জমাট আড্ডাও চলছে। খাবার আসতেই আড্ডা বা খাওয়া থেকে মনোযোগ সরিয়ে আপনি খাবারের সুন্দর ছবি তোলা শুরু করলেন। আর আপলোড করতে থাকলেন ইন্সটাগ্রাম বা ফেসবুকে। এই অভ্যাস হয়তো আপনার অজান্তেই সুন্দর সন্ধ্যাটাকে মাটি করে দিচ্ছে।

৩. মদ্যপ অবস্থায় স্ট্যাটাস বা টুইট: অনেকের মধ্যেই এই দেখানেপনাটা থাকে। বারে বসে ড্রিঙ্ক করতে করতে হয়তো ফেসবুকে বা টুইটারে উল্টোপাল্টা একটা পোস্ট দিলেন। এটা আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে। ফলে, মোবাইলের সাথে অ্যালকোহল না মেশানোই ভাল।

৪. হাঁটতে হাঁটতে এসএমএস বিনিময়: হাঁটতে হাঁটতে চ্যাট বা এসএমএস বিনিময় একেবারে বাদ দিন। ভাবুন আপনি এমন আহামরি কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলছেন কি না যা গন্তব্যে পৌঁছে বা রাস্তা পার হয়ে করলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে? টেক্সট করতে করতে পথ চলছে ভুলো মনে বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়ে যেতে পারেন আপনি।

৫. অন্যের কথার মধ্যে চ্যাটিং: সামনা সামনি বসে যিনি আপনার সাথে কথা বলছেন তিনি তো আপনার মনোযোগ চান। কিন্তু তখন যদি আপনি চ্যাটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন তখন কেমন মনে হয়। এটা বাজে দেখায় আর বিরক্তিকরও। আপনি কথা বলার সময় কেউ যদি চ্যাটিং করতে থাকে আপনার কেমন লাগবে?

৬. গেমিং: স্মার্ট ফোনের এক নতুন উপদ্রব গেমিং। মজা হলেও এতে সময় যায় অনেক। ভেবে দেখুন তো আপনি ১০ বছর বয়সে ফিরে গেছেন কি না। গেমিংয়ের চাইতে জরুরি কোনো কাজ পড়ে আছে কি না।

৭. বাথরুমে ফোন নিয়ে ঢোকা: আগে অনেকের সকালের খবর কাগজ নিয়ে বাথরুমে ঢোকার বদঅভ্যাস ছিল। এখন ঢোকে স্মার্টফোন নিয়ে। বাথরুমে বসে কাউকে ফোন করা বা মেসেজ পাঠানোটা কেমন অভ্যাস একবার ভেবে দেখুন তো?

৮. ছুটিতে গিয়েও ই-মেইল: ছুটিতে গিয়েছেন- সঙ্গীর সাথে মনোরম লোকেশনে দারুণ সময় কাটছে। কিন্তু আপনার স্মার্টফোনে কিন্তু মেইল আসছেই। আর আপনিও তাতে সাড়া দিচ্ছেন। অফিসের কাজে জড়িয়ে পড়ছেন অজান্তে। ছুটিতে কি অফিশিয়াল ই-মেইল চেক না করলেই নয়?

৯. ফোরস্কয়ারে আসক্তি: স্মার্টফোন ব্যবহার করে নিজে কোথায় আছেন তা জানান দেওয়া এবং বন্ধু ও পরিচিতদের লোকেশন জানাটা একটা জনপ্রিয় ব্যাপার। এক্ষেত্রে ফোরস্কয়ার বাইরে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। আমাদের দেশে ততোটা নয়। কিন্তু লোকেশন জানার নানা উপায় আছে। লোকেশন জানার বা জানাবার প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি কিন্তু আপনাকে ছোঁকছোঁকে ব্যক্তিতে পরিণত করতে পারে।

১০. হোয়াটসঅ্যাপে বড় গ্রুপ তৈরি: আপনার ফোনবুক বড় হতেই পারে। আপনি আলাদা আলাদা গ্রুপ করে গ্রুপগুলোর সাথে যুক্ত থাকতেও পারেন। কিন্তু বেশি গ্রুপ বা বড় গ্রুপের সাথে কানেকটেড থাকার অভ্যাস আপনার দিনটা খেয়ে নিতে পারে। যেকোনো ব্যাপারে অতিরিক্তটা খারাপ, তাই না?
 

সবচেয়ে পাতলা কনডম

সবচেয়ে পাতলা কনডম

condom-sb 
বাংলা নিউজ26.com ডেস্ক :   চীনা একটি কনডম নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বিশ্বের সবচেয়ে পাতলা লেটেক্স কনডম তৈরির রেকর্ড গড়েছে। কনডমটি বৃহস্পতিবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে তালিকাভুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকের তালিকা অনুযায়ী কনডমটির পুরুত্ব মাত্র ০.০৩৬ মিলিমিটার। অ্যাওনি কনডমটি তৈরি হয়েছে গুয়ানঝৌ নির্মিত কনডমটি এর আগে জাপানের ইউনাইটেড রাবার প্রডাক্টস-এর নির্মিত কনডমের রেকর্ড ভেঙে ফেলে।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর চীনা রেকর্ড ম্যানেজার চার্লস হোয়ার্টন বলেন, এর আগের রেকর্ড নির্মাতা ছিল ওকামটো। তাদের সবচেয়ে পাতলা কনডমটি ছিল ০.০৩৮ মিলিমিটার পুরু।
গুয়ানঝৌ প্রতিষ্ঠানটি প্রতি বছর প্রায় ২০ কোটি কনডম তৈরি করে। তবে এগুলো প্রধানত চীনের মূল ভূখণ্ডে বিক্রি করা হয়।
http://banglanews26.com পিনটু


মিসরে সন্তান প্রসবের পরও আটক কিশোরী বিক্ষোভকারীকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়

মিসরে সন্তান প্রসবের পরও আটক কিশোরী বিক্ষোভকারীকে হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়

নয়া দিগন্ত ডেস্ক
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, শনিবার, ৯:৪৮
 
  সন্তান প্রসবের পর হাতকড়া পরা অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন জাহাব হামাদি : এএফপি
১৯ বছর বয়সী কিশোরী বিক্ষোভকারী জাহাব হামাদি সন্তান প্রসব করার পর তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। হাসপাতালের বিছানায় সদ্য প্রসূতির হাতকড়া পরা অবস্থার ছবি প্রকাশের পর জনগণের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দ্য গার্ডিয়ান।
চলতি সপ্তাহে জায়তুন হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর কায়রোর দারিদ্র্যকবলিত এলাকা আল দার্ব আল আহমারে পারিবারিক বাড়িতে স্বামী আশরাফ সাইয়েদ (৩৪) বলেন, ‘কথিত সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য এখনো তার স্ত্রী জাহাব হামাদির বিরুদ্ধে মামলা ঝুলে রয়েছে। পরিবারের আশঙ্কা পুলিশ তাদের বাড়িতে হানা দিয়ে তার স্ত্রীকে আবারো জেলে নিয়ে যাবে। আমরা অবিচার ও জুলুমের শিকার।’ তারা তাদের মেয়েটির নাম রেখেছেন, ‘হুররিয়া’ যার অর্থ স্বাধীনতা।
গত ১৪ জানুয়ারি নতুন সংবিধানের ওপর গণভোটের প্রথম দিন মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকদের বিরুদ্ধে সারা দেশে ব্যাপক ধরপাকড় চালানোর সময় জাহাব হামাদিকে গর্ভবতী অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। হামাদি জানান, তিনি একটি থানার পাশ দিয়ে হেঁটে ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি বিক্ষোভে অংশ নিচ্ছেন না বলে বারবার জানানো সত্ত্বেও তাকে বিক্ষোভবিরোধী আইনে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তাকে ১৫ দিনের জেল দেয়া হয় যার মেয়াদ পরে তিন দফায় ১৫ দিন করে বাড়ানো হয়।
গ্রেফতারের পর পুলিশ অফিসার তাকে বলেন, ‘জেনে রেখো, তোমাকে জেলের মধ্যেই সন্তান প্রসব করতে হবে।’ গত সপ্তাহে তাকে কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া হয়। পরদিনই তাদের প্রথম সন্তানটি সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে জন্মগ্রহণ করে। হামাদিকে তারপর হাসপাতালের বিছানায় একাধিকবার হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয়। বিছানায় তার ডান হাতে হাতকড়া পরা এ ছবি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
কিশোরী নারীর প্রতি সরকারের এ ধরনের অমানবিক আচরণের তীব্র সমালোচনা করেন মানবাধিকার কর্মী ও আইনজীবীরা। এরপর দ্রুত তাকে মুক্তি দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মিসরের পুলিশ দেশের মানুষকে স্বেচ্ছাচারমূলক গ্রেফতার ও নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।  গত রোববার মুক্তি পাওয়ার পর তার আইনজীবী হামাদির মতো অন্য যারা বন্দী রয়েছেন তাদের প্রতি দৃষ্টি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।বাংলা নিউজ 26.com

নজরুল যেখানে অনন্য

নজরুল যেখানে অনন্য

হাসান শরীফ
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪, শনিবার, ৯:১৫

বাংলা সাহিত্যে কবি কাজী নজরুল ইসলাম একটি বিস্ময়কর নাম। তার বিদ্রোহে বাংলা সাহিত্য চিরদিনের মতো বদলে যাওয়ার বিপ্লব ঘটে গেছে। অনেকেই তাঁর এই ভূমিকা স্বীকার করে নিয়েছেন। এখানে আরেক দিকপাল স্বীকৃতি তুলে ধরা হচ্ছে। তিনি হলেন পল্লীকবি জসীম উদ্দীন। তিনি তাঁর ঠাকুর-বাড়ির আঙিনায় (পৃষ্ঠা ১৫০-১৫১) কাজী নজরুল সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন, এখানে তা তুলে ধরা হলো-
‘নজরুলের জীবন লইয়া অনেক চিন্তা করিয়া দেখিয়াছি। এই লোকটি আশ্চর্য লোকরঞ্জনের মতা লইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছেন। যখনই যেখানে গিয়াছেন, যশ অর্থ সম্মান আপনা হইতেই আসিয়া তাঁহার পদতলে লুটাইয়া পড়িয়াছে। রবীন্দ্রনাথ হইতে সত্যেন্দ্রনাথ পর্যন্ত- কেহই কবিতা রচনা করিয়া সেকালে অর্থ-উপার্জন করিতে পারেন নাই। রবীন্দ্রনাথের বহু পুস্তকের তখন দ্বিতীয় সংস্করণ হইত না। মাসিক পত্রিকার সম্পাদক কবিদের কবিতার জন্য অর্থ তো দিতেনই না- যে সংখ্যায় কবির কবিতা ছাপা হইত, সেই সংখ্যাটি পর্যন্ত কবিকে কিনিয়া লইতে হইত। নজরুলই বোধ হয় বাংলার প্রথম কবি, যিনি কবিতা লিখিয়া মাসিক পত্রিকা হইতেও প্রচুর অর্থ উপার্জন করিয়াছেন।
আগে গ্রামোফোনের জন্য যাঁহারা গান রচনা করিতেন, গ্রামোফোন কোম্পানীর নিকট হইতে তাঁহাদের খুব কম লোকই রচনার মূল্য আদায় করিতে পারিতেন। নজরুল গ্রামোফোনের গান রচনা করিয়া শুধু নিজের গানের জন্যই পারিশ্রমিক আদায় করিলেন না, তাঁহার আগমনের পর হইতে সকল লেখকই রচনার জন্য উপযুক্ত মূল্য পাইতে লাগিলেন। নজরুল প্রমাণ করিলেন, গানের রেকর্ড যে বেশী বিক্রি হয়- সে শুধু গায়কদের সুকণ্ঠের জন্যই নয়, সুন্দর রচনার সহিত সুন্দর সুরের সমাবেশ রেকর্ড বিক্রয় বাড়াইয়া দেয়। নজরুলের আগমনের পর হইতে গ্রামোফোন-কোম্পানী আরও নূতন নূতন রচনাকারীর সন্ধানে ছুটিল, নূতন নূতন সুর-সংযোজনকারীর খোঁজে বাহির হইল। নজরুলের রচনা আর সুর লইয়া তাঁহারা বুঝিতে পারিল, সুন্দর কথার সঙ্গে সুন্দর সুরের সমাবেশ হইলে সেই গান বেশি লোকপ্রিয় হয়। গ্রামোফোন-কোম্পানীতে কাজ যে এত কথাকার আর এত সুরকার গুঞ্জরণ করিতেছেন, এ শুধু নজরুলের জন্য। একথা কি তাঁহারা কেহ আজ স্বীকার করিবেন?
একটি গান রচনা করা অনেক সময় একটি মহাকাব্য রচনার সমান। মহাকাব্যের লেখক সুবিস্তৃত কাহিনীর পটেেপর মধ্যে আপনার ভাব রূপায়িত করিবার অবসর পান। গানের লেখক মহাকাব্য রচনা করেন অতি-সংপ্তি কয়েকটি কথার ভিতর দিয়া। মহাকাব্যের পাঠক বার বার সেই কাব্য পাঠ করেন না; করিলেও সেই কাব্যের ত্র“টিবিচ্যুতি ও গুণের সঙ্গে পরিচিত হন। সেই জন্য একটি ভাল গান রচনা করা প্রায় একটি মহাকাব্য রচনার মতই কঠিন। নজরুলের বেলায় দেখিয়াছি, গান রচনা তাঁহার পে কত সহজ ছিল। তিনি যেন গান রচনা করেন নাই, বালকের মত পুতুল লইয়া খেলা করিয়াছেন। সুরগুলি পাখির মত সহজেই তাঁহার কথঅর জালে আসিয়া আবদ্ধ হইয়াছে।’
ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা
এরশাদ : একজন সাপুড়ে রাজনীতিক!
ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা : ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রথমে নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুর সফরে এসে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘আমি এখনো শৃংখলমুক্ত রাজনীতিবিদ নই, অতীতেও শৃংখলমুক্ত ছিলাম না; এখনো নই।’ এরশাদের এ বক্তব্য রংপুরের মানুষের মধ্যে বেশ হাসির খোরাক জুগিয়েছে। রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ আর দলনে যারা হাসতে ভুলে গিয়েছিলেন তারাও এরশাদের এ বক্তব্য শুনে না হেসে পারেননি। অনেকেই এধরনের হাসানোর খোরাকের যোগান দেয়ায় এরশাদের প্রশংসা করছেন।
এরশাদের রংপুর সফরের আগের দিন জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয়ের অনতিদূরে পায়রা চত্বরে দাঁড়িয়ে এক সরকারি চাকুরে রংপুরে জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, এরশাদের রাজনৈতিক আচরণ হলো সাপুড়েদের মতোই। সাপুড়েরা যেমন সাপের খেলা দেখানোর সময় কথা দিয়ে মানুষ ভুলিয়ে-ভালিয়ে টাকা রোজগার করে; তেমনি এরশাদও কথার ছলনে রংপুরের মানুষকে ভোলাতে চেষ্টা করেন। আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাত এরশাদ সকালে এক কথা আর বিকেলে আরেক কথা বলায় মানুষ তার কথা আস্থায় নেয় না। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ৫ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে ভেল্কিবাজী করেছেন তার খেসারত তাকে দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সিএমএইচ-এ থেকে তিনি কখনো দাবি করেন আমি আটক, আবার গলফও খেলেন নিয়মিত। তার দলের লোকজনই গলফ খেলার দৃশ্য মোবাইলে ধারন করে তা মিডিয়ায় সরবরাহ করেছে। সেই ব্যক্তিরাই এখনো তার রাজনৈতিক সঙ্গী। এরশাদ মুখে যাই বলুক মানুষ তাকে আস্থায় নেয় না। আলোচনায় যোগ দিয়ে একজন অধ্যাপক বললেন, ওই লোকের কাছে রংপুরের মানুষ যেন ভোট বন্ধক রেখেছে। আর উনি ইচ্ছামতো যেমন খুশি তেমন ভোট বিক্রী করছেন। রংপুরের মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তিনি দুই ভাই, স্ত্রী, বোন, ভাতিজা, বোন জামাইকে এমপি, মন্ত্রী করেছেন। তিনি আর সে সুযোগ পাবেন না। উপজেলা নির্বাচনে এরশাদ টের পাবেন রংপুরের জনগণের কাছে তার অবস্থান কোথায়। তার ভেল্কিবাজীতে মানুষ আর ভুলবে না।
রংপুর শহরের পায়রা চত্বরে স্থানীয় কলেজের অধ্যাপকের ক্রোধের প্রতিফলন দেখা গেছে এবার উপজেলা নির্বাচনে। প্রথম দফায় ৯৭ উপজেলা নির্বাচনে ৯৬টির ফলাফলে দেখা যাচ্ছে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ৪৩টি, আওয়ামী লীগ ৩৪টি, জামায়াত ১৩টিতে বিজয়ী হয়েছে। আর এরশাদের জাতীয় পার্টি মাত্র একটি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একই অবস্থা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ৩২ (পুরুষ) ৩৪ (নারী), আওয়ামী লীগ ২৪ (পুরুষ) ৩৪ (নারী), জামায়াত ২৩ (পুরুষ) ১০ (নারী), জাতীয় পার্টি ৩ (পুুরুষ) ১ (নারী) বিজয়ী হয়েছে। জামায়াত আর জাতীয় পার্টির ফলাফলের চিত্রই বলে দেয় দেশের রাজনীতিতে এরশাদের অবস্থান কোথায়।
রংপুরের কয়েকটি উপজেলার গ্রামগঞ্জ এবং জেলা শহরে ঘুরে কৃষক ক্ষেতমজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন মত পথ ও পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, যারা এরশাদকে নিয়ে এতোদিন গর্ব করতেন; তারাই দুঃখ করছেন; নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আফসোস করছেন। বিগত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে এরশাদের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেয়ার জন্য নিজেদের ধিক্কার দিচ্ছেন। গাইবান্ধার স্টেশন রোডে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী রওশন আলম আকন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজনীতিতে আদর্শ থাকে; থাকে নীতি নৈতিকতা। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলোর নেতাদের অনৈতিকতা করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলো এরশাদের মতো রঙ্গিন নেতারা ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’ প্রবচন চালু করে মূল্যবোধের রাজনীতিতে শেষ পেরেক ঠুঁকে দিয়েছেন। নীতি নৈতিকতার চেয়ে ক্ষমতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় ওরা জনগণের সঙ্গে এমন আচরণ করছেন। রংপুরের মানুষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এরশাদ এতোদিন জনপ্রিয়তার পারদ উপরে উঠিয়েছেন; কিন্তু তার নীতিহীনতা আর জামা-কাপড় বদলের মতো ‘ক্ষণে ক্ষণে মত বদল’ রংপুরের মানুুষের ভুল ভেঙ্গে দিয়েছে। গাইবান্ধায় দেখা গেল বিগত জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পোস্টারে এরশাদের ছবিতে কে বা কারা কালি লেপ্টে দিয়েছে। জামায়াত অধ্যুষিত সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেল। বেরসিকদের কেউ কেউ আবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের চেয়ারম্যানের ছবিতে কালো কালি দিয়ে গোঁফ এঁকে দিয়েছেন। দৃষ্টিকটূ ওই পোস্টারগুলো বাতাসে উড়ছে পত্ পত্ করে।
তিস্তা স্টেশনে নেমে পিছনের পথে কিছুদূর এলেই তিস্তার চর। কাউনিয়া রেলওয়ে ব্রীজ আর অনতিদূরে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা নতুন ব্রিজ। ব্রিজের নীচে পানি নেই। স্কুল আর মাদ্রাসার ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কয়েকজন ছেলে ফুটবল খেলছে। তারা আবার প্রতিযোগিতা করে পরনের কাপড় হাঁটুতে তুলে নদী পাড় হচ্ছে। নদীতে পানি নেই দৃশ্য দেখে হুহু করে ওঠে মন। সর্বনাশা তিস্তা এখন রবী ঠাকুরের ‘আমাদের ছোট নদী’ পর্যায়েও নেই। হাঁটতে হাঁটতে রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তা নদীর চরে পিঁয়াজের চারায় রোপণরত দুই ক্ষেতমজুর তুহিন আর সেরাজুলের সঙ্গে কথা হয়। তাদের বক্তব্য এমন, ‘এরশাদ হামাক মফিজ পাইচে। ভোলেয়া ভালেয়া ভোট নিয়ে ত্যাই বিক্রী করে দেন। হামরা আর এরশাদের মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলবার নই। এবার ভোটে লাঙ্গলক এবার মুলা দেকামো।’ কুড়িগ্রামের রাজার হাট, তিস্তা রেলওয়ে জংশন, উলিপুর, কাঠালবাড়ি এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে কথা হয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের কথায় মনে হলো তারা নিজেদের ওপর ক্ষুব্ধ। এরশাদের ওপর বিরক্ত। তরফদার নামের এক চা বিক্রেতার কথায় সেটা ফুটে উঠলো। বললো ’৯০-এর পর লাঙ্গলে ভোট দিয়ে ভুল করেছি। নৌকা বা ধানের শীষে ভোট দিলে এলাকার উন্নতি হতো। লাঙ্গলে ভোট দিয়ে আমরা এরশাদের উন্নতি করেছি। তার স্ত্রী, ভাই-বোন-ভাতিজা দুলাভাইকে নেতা বানিয়েছি; অথচ আমাদের কিছুই হয়নি। বেদে-সাপুড়িয়াদের মতো সকাল-বিকেল কথা বদল করে এরশাদ ঐতিহ্যবাহী রংপুরের মানুষের মানইজ্জত নষ্ট করছেন। কয়দিন আগে এরশাদ কইলো ‘মুই নিব্বাচন (নির্বাচন) করো নাই’। ‘হামার কথা হলো- নিব্বাচন (নির্বাচন) না করলে এমপি হলু কেমন করি? প্রধানমন্ত্রীর দূত হয়া পতাকা উড়াইস কেমন করি? হামাকগুলাক মফিজ পাচিস?’ বোঝা গেল সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের ওপর এ এলাকার মানুষ প্রচ- বিক্ষুব্ধ। ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় রংপুর শহরের মর্ডান মোড়ের (অনতিদূরে এরশাদের বাড়ি) ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানিক লাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, এরশাদ তার বউকে (স্ত্রী) ভাংগা ইলেকশনে (২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে) এমপি করিল। ৫ বছরে ওই মহিলা ২ বার অম্পুরত (রংপুর) আইলো। মানুষকে কিছু দিল না। অম্পুরের কথা শুনলে তার খালিবোলে অসুখ হয়। ত্যাই (সেই) এবার জামাইক ল্যাং মেরে বিরোধী দল নেতা হইলো। এখন শুনি তার সাথে এরশাদের ক্যাচাল। জাগার ছাওয়াল হওয়ায় এরশাদক ভোট দিছনো ফাঁসি থাকি বাঁচার জন্য। উয়ার বউ-ভাই-ভাতিজাকে এমপি করার ভোট দেই নাই। উপজেলা নির্বাচনত এবার বুঝবে ঠ্যালা।’ নব্দীগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষক জানালেন, তিনি জাতীয় পার্টি করতেন। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় থেকে দল ত্যাগ করেছেন। তার ভাষায় ওই প্রকৃতির ব্যক্তির নেতৃত্বে দল করলে পরিবারের সদস্যরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
রংপুর বিভাগের ৯ জেলার মধ্যে ৮ জেলা ঘুরে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কয়েকদিন কথা বলে প্রায় অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে।
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/02/22/162627.php#sthash.76Lpg2QN.dpuf
এরশাদ : একজন সাপুড়ে রাজনীতিক!
ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা : ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর প্রথমে নিজ নির্বাচনী এলাকা রংপুর সফরে এসে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদ বলেছেন, ‘আমি এখনো শৃংখলমুক্ত রাজনীতিবিদ নই, অতীতেও শৃংখলমুক্ত ছিলাম না; এখনো নই।’ এরশাদের এ বক্তব্য রংপুরের মানুষের মধ্যে বেশ হাসির খোরাক জুগিয়েছে। রাজনৈতিক সংঘাত-সংঘর্ষ আর দলনে যারা হাসতে ভুলে গিয়েছিলেন তারাও এরশাদের এ বক্তব্য শুনে না হেসে পারেননি। অনেকেই এধরনের হাসানোর খোরাকের যোগান দেয়ায় এরশাদের প্রশংসা করছেন।
এরশাদের রংপুর সফরের আগের দিন জাতীয় পার্টির জেলা কার্যালয়ের অনতিদূরে পায়রা চত্বরে দাঁড়িয়ে এক সরকারি চাকুরে রংপুরে জাতীয় পার্টির বর্তমান অবস্থা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, এরশাদের রাজনৈতিক আচরণ হলো সাপুড়েদের মতোই। সাপুড়েরা যেমন সাপের খেলা দেখানোর সময় কথা দিয়ে মানুষ ভুলিয়ে-ভালিয়ে টাকা রোজগার করে; তেমনি এরশাদও কথার ছলনে রংপুরের মানুষকে ভোলাতে চেষ্টা করেন। আনপ্রেডিক্টেবল খ্যাত এরশাদ সকালে এক কথা আর বিকেলে আরেক কথা বলায় মানুষ তার কথা আস্থায় নেয় না। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন এবং ৫ জানুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে ভেল্কিবাজী করেছেন তার খেসারত তাকে দিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের আগে সিএমএইচ-এ থেকে তিনি কখনো দাবি করেন আমি আটক, আবার গলফও খেলেন নিয়মিত। তার দলের লোকজনই গলফ খেলার দৃশ্য মোবাইলে ধারন করে তা মিডিয়ায় সরবরাহ করেছে। সেই ব্যক্তিরাই এখনো তার রাজনৈতিক সঙ্গী। এরশাদ মুখে যাই বলুক মানুষ তাকে আস্থায় নেয় না। আলোচনায় যোগ দিয়ে একজন অধ্যাপক বললেন, ওই লোকের কাছে রংপুরের মানুষ যেন ভোট বন্ধক রেখেছে। আর উনি ইচ্ছামতো যেমন খুশি তেমন ভোট বিক্রী করছেন। রংপুরের মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তিনি দুই ভাই, স্ত্রী, বোন, ভাতিজা, বোন জামাইকে এমপি, মন্ত্রী করেছেন। তিনি আর সে সুযোগ পাবেন না। উপজেলা নির্বাচনে এরশাদ টের পাবেন রংপুরের জনগণের কাছে তার অবস্থান কোথায়। তার ভেল্কিবাজীতে মানুষ আর ভুলবে না।
রংপুর শহরের পায়রা চত্বরে স্থানীয় কলেজের অধ্যাপকের ক্রোধের প্রতিফলন দেখা গেছে এবার উপজেলা নির্বাচনে। প্রথম দফায় ৯৭ উপজেলা নির্বাচনে ৯৬টির ফলাফলে দেখা যাচ্ছে চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ৪৩টি, আওয়ামী লীগ ৩৪টি, জামায়াত ১৩টিতে বিজয়ী হয়েছে। আর এরশাদের জাতীয় পার্টি মাত্র একটি উপজেলায় বিজয়ী হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান পদেও একই অবস্থা। ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি ৩২ (পুরুষ) ৩৪ (নারী), আওয়ামী লীগ ২৪ (পুরুষ) ৩৪ (নারী), জামায়াত ২৩ (পুরুষ) ১০ (নারী), জাতীয় পার্টি ৩ (পুুরুষ) ১ (নারী) বিজয়ী হয়েছে। জামায়াত আর জাতীয় পার্টির ফলাফলের চিত্রই বলে দেয় দেশের রাজনীতিতে এরশাদের অবস্থান কোথায়।
রংপুরের কয়েকটি উপজেলার গ্রামগঞ্জ এবং জেলা শহরে ঘুরে কৃষক ক্ষেতমজুর থেকে শুরু করে বিভিন্ন মত পথ ও পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, যারা এরশাদকে নিয়ে এতোদিন গর্ব করতেন; তারাই দুঃখ করছেন; নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আফসোস করছেন। বিগত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে এরশাদের মনোনীত প্রার্থীদের ভোট দেয়ার জন্য নিজেদের ধিক্কার দিচ্ছেন। গাইবান্ধার স্টেশন রোডে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী রওশন আলম আকন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রাজনীতিতে আদর্শ থাকে; থাকে নীতি নৈতিকতা। জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দলগুলোর নেতাদের অনৈতিকতা করার কোনো সুযোগ নেই। কিন্তু দুঃখজনক হলো এরশাদের মতো রঙ্গিন নেতারা ‘রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই’ প্রবচন চালু করে মূল্যবোধের রাজনীতিতে শেষ পেরেক ঠুঁকে দিয়েছেন। নীতি নৈতিকতার চেয়ে ক্ষমতাকে বেশি গুরুত্ব দেয়ায় ওরা জনগণের সঙ্গে এমন আচরণ করছেন। রংপুরের মানুষের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে এরশাদ এতোদিন জনপ্রিয়তার পারদ উপরে উঠিয়েছেন; কিন্তু তার নীতিহীনতা আর জামা-কাপড় বদলের মতো ‘ক্ষণে ক্ষণে মত বদল’ রংপুরের মানুুষের ভুল ভেঙ্গে দিয়েছে। গাইবান্ধায় দেখা গেল বিগত জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পোস্টারে এরশাদের ছবিতে কে বা কারা কালি লেপ্টে দিয়েছে। জামায়াত অধ্যুষিত সুন্দরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায়ও একই চিত্র দেখা গেল। বেরসিকদের কেউ কেউ আবার জাতীয় পার্টির প্রার্থী ও দলের চেয়ারম্যানের ছবিতে কালো কালি দিয়ে গোঁফ এঁকে দিয়েছেন। দৃষ্টিকটূ ওই পোস্টারগুলো বাতাসে উড়ছে পত্ পত্ করে।
তিস্তা স্টেশনে নেমে পিছনের পথে কিছুদূর এলেই তিস্তার চর। কাউনিয়া রেলওয়ে ব্রীজ আর অনতিদূরে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধন করা নতুন ব্রিজ। ব্রিজের নীচে পানি নেই। স্কুল আর মাদ্রাসার ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কয়েকজন ছেলে ফুটবল খেলছে। তারা আবার প্রতিযোগিতা করে পরনের কাপড় হাঁটুতে তুলে নদী পাড় হচ্ছে। নদীতে পানি নেই দৃশ্য দেখে হুহু করে ওঠে মন। সর্বনাশা তিস্তা এখন রবী ঠাকুরের ‘আমাদের ছোট নদী’ পর্যায়েও নেই। হাঁটতে হাঁটতে রংপুরের কাউনিয়ার তিস্তা নদীর চরে পিঁয়াজের চারায় রোপণরত দুই ক্ষেতমজুর তুহিন আর সেরাজুলের সঙ্গে কথা হয়। তাদের বক্তব্য এমন, ‘এরশাদ হামাক মফিজ পাইচে। ভোলেয়া ভালেয়া ভোট নিয়ে ত্যাই বিক্রী করে দেন। হামরা আর এরশাদের মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলবার নই। এবার ভোটে লাঙ্গলক এবার মুলা দেকামো।’ কুড়িগ্রামের রাজার হাট, তিস্তা রেলওয়ে জংশন, উলিপুর, কাঠালবাড়ি এলাকায় ঘুরতে ঘুরতে কথা হয় বেশ কয়েকজনের সঙ্গে। তাদের কথায় মনে হলো তারা নিজেদের ওপর ক্ষুব্ধ। এরশাদের ওপর বিরক্ত। তরফদার নামের এক চা বিক্রেতার কথায় সেটা ফুটে উঠলো। বললো ’৯০-এর পর লাঙ্গলে ভোট দিয়ে ভুল করেছি। নৌকা বা ধানের শীষে ভোট দিলে এলাকার উন্নতি হতো। লাঙ্গলে ভোট দিয়ে আমরা এরশাদের উন্নতি করেছি। তার স্ত্রী, ভাই-বোন-ভাতিজা দুলাভাইকে নেতা বানিয়েছি; অথচ আমাদের কিছুই হয়নি। বেদে-সাপুড়িয়াদের মতো সকাল-বিকেল কথা বদল করে এরশাদ ঐতিহ্যবাহী রংপুরের মানুষের মানইজ্জত নষ্ট করছেন। কয়দিন আগে এরশাদ কইলো ‘মুই নিব্বাচন (নির্বাচন) করো নাই’। ‘হামার কথা হলো- নিব্বাচন (নির্বাচন) না করলে এমপি হলু কেমন করি? প্রধানমন্ত্রীর দূত হয়া পতাকা উড়াইস কেমন করি? হামাকগুলাক মফিজ পাচিস?’ বোঝা গেল সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের ওপর এ এলাকার মানুষ প্রচ- বিক্ষুব্ধ। ১৫ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় রংপুর শহরের মর্ডান মোড়ের (অনতিদূরে এরশাদের বাড়ি) ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মানিক লাল ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, এরশাদ তার বউকে (স্ত্রী) ভাংগা ইলেকশনে (২০০৯ সালের উপ-নির্বাচনে) এমপি করিল। ৫ বছরে ওই মহিলা ২ বার অম্পুরত (রংপুর) আইলো। মানুষকে কিছু দিল না। অম্পুরের কথা শুনলে তার খালিবোলে অসুখ হয়। ত্যাই (সেই) এবার জামাইক ল্যাং মেরে বিরোধী দল নেতা হইলো। এখন শুনি তার সাথে এরশাদের ক্যাচাল। জাগার ছাওয়াল হওয়ায় এরশাদক ভোট দিছনো ফাঁসি থাকি বাঁচার জন্য। উয়ার বউ-ভাই-ভাতিজাকে এমপি করার ভোট দেই নাই। উপজেলা নির্বাচনত এবার বুঝবে ঠ্যালা।’ নব্দীগঞ্জের এক স্কুল শিক্ষক জানালেন, তিনি জাতীয় পার্টি করতেন। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের সময় থেকে দল ত্যাগ করেছেন। তার ভাষায় ওই প্রকৃতির ব্যক্তির নেতৃত্বে দল করলে পরিবারের সদস্যরা তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে।
রংপুর বিভাগের ৯ জেলার মধ্যে ৮ জেলা ঘুরে বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কয়েকদিন কথা বলে প্রায় অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে।
- See more at: http://www.dailyinqilab.com/2014/02/22/162627.php#sthash.76Lpg2QN.dpuf

জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তহবিল চায় বাংলাদেশ

জঙ্গি দমনে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তহবিল চায় বাংলাদেশ

247ঢাকা: জঙ্গি দমনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তহবিল চেয়েছে বাংলাদেশ। এই ইস্যুতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধিতে দুই দেশের কর্মকর্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। গত বৃহস্পতিবার (স্থানীয় সময়) ওয়াশিংটনে গ্লোবাল কমিউনিটি এনগেজমেন্ট অ্যান্ড রিসাইলেন্স ফান্ড বিষয়ক এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক অংশ নেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বাংলাদেশ আর্থিক সহায়তার আশ্বাস পেয়েছে। তবে অর্থের পরিমাণ এখনো নির্ধারণ হয়নি।শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছি। এ বিষয়ে কিভাবে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা যায় সে ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।’বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ফান্ড কমিটির দ্বিতীয় স্টিয়ারিং বৈঠকে বাংলাদেশ প্রসংশিত হয়েছে। বিভিন্ন দেশের কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ফান্ডের ব্যাপারে একটি প্রস্তাবনা তৈরি করেছেন। বাংলাদেশ কি পরিমাণ অর্থ পাবে তা এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তুরস্ক গত বছর তহবিলটি গঠন করে। ২০টি দেশ ও বেসরকারি সংস্থা এতে সহায়তা করে।সম্প্রতি ঢাকায় নিযু্ক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজীনা ওই তহবিল পেতে বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আগামী ২২ এপ্রিল প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত দ্বিপক্ষীয় তৃতীয় সংলাপে অংশ নেবে। ১৬ এপ্রিল নিরাপত্তা সংক্রান্ত তৃতীয় সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। জুনের মধ্যভাগে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয় অংশীদারিত্ব সংলাপ।
http://banglanews26.comঢাকা/মনির


0
Share

ছাত্রকে ‘প্রেমের কামড়’ দেয়ায় শিক্ষিকা জেলে

ছাত্রকে ‘প্রেমের কামড়’ দেয়ায় শিক্ষিকা জেলে

sex_t-sbডেস্কঃ ছাত্রের সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করায় ৪২ বছর বয়সি এক স্কুল শিক্ষিকাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে সিংগাপুরের একটি আদালত৷ ১৩ বছর বয়সি ছাত্রটি দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষিকার স্কুলেরই শিক্ষার্থী৷
আলোচিত নারী ১১ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন৷ চার সন্তানের মাও তিনি৷ তাঁর বিরুদ্ধে শিশু এবং অল্প বয়সিদের উপর যৌন নিপীড়নের দু-দুটি অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে৷ সিংগাপুরের ‘চিলড্রেন অ্যান্ড ইয়াং পারসন্স অ্যাক্ট’-এর আওতায় শিক্ষিকার বিচার করা হয়েছে৷
আদালত থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, অভিযুক্ত নারী কিশোরের ঠোঁটে চুমু দিয়েছেন এবং তার কাঁধে ও ঘাড়ে ‘লাভ বাইট’ বা প্রেমের দংশন এঁকে দিয়েছেন৷ ২০১২ সালে এই কাজ করেন তিনি৷ তবে অভিযুক্ত হলেও শিক্ষিকার নাম পরিচয় প্রকাশ করেনি আদালত৷
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৩ বছর বয়সি ঐ ছাত্রটি শিক্ষিকার ছেলের সঙ্গে একসঙ্গে ফুটবল খেলতো৷ জানা যায়, প্রথমে ছেলেটির সঙ্গে ফেসবুক চ্যাটের মাধ্যমে সখ্যতা গড়ে তোলেন জনৈকা শিক্ষিকা৷ এরপর পাবলিক পার্কে গিয়ে তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন তিনি৷ আদরের অছিলায় কিশোরের শরীরে তিনি যৌন কামনার চিহ্ন রাখেন৷ চুম্বনের সঙ্গে দাঁতের কামড় বসান ঘাড়ে৷
ছেলে বাড়ি ফিরে এলে, ঘাড়ে ‘লাভ বাইট’ দেখে তার মা পুলিশের শরণাপন্ন হন৷ বিচারক নং পেং হং তাঁর রায়ে লিখেছেন, ‘‘১৩ বছর বয়সি এক ছেলের উপর এমন একজন মানুষ যৌন নিপীড়ন চালিয়েছেন, যিনি শিক্ষিকা৷ আমার মতে, পাবলিক পার্কে বসে ছাত্রের গায়ে ‘লাভ বাইটস’ এবং তার ঠোঁটে চুমু দেয়ার সময় জিব ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষিকা অশ্লীল, যৌন এবং অগ্রহণযোগ্য আচরণ করেছেন৷”
আদালতে শিক্ষিকার পক্ষের আইনজীবী জানান, শিক্ষিকা মানসিক বিষন্নতায় ভুগছিলেন৷ বিচারক অবশ্য এই যুক্তি তেমন একটা আমলে নেননি৷

http://banglanews26.com/২১.০২.২০১৪/মনির

কী করেছিলেন সাকিব (ভিডিও)

কী করেছিলেন সাকিব (ভিডিও)

sakib-21 
ঢাকা: অশালীন আচরণ করায় বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ৩ ম্যাচে নিষিদ্ধ ও ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু তিনি কি করেছিলেন? গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ চলাকালে তার অশোভন সেই আচরণ ধরে ফেলে ক্যামেরা।
ঘটনাটা বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-শ্রীলংকা দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচের সময়। বাংলাদেশ ইনিংসের তখন ৩৩তম ওভার চলছে। ওভারের মাঝেই টিভি রিপ্লে দেখে সাকিবের আউট বিশ্লেষণ করছিলেন টিভি ধারাভাষ্যকাররা।
সেই সময়ই ক্যামেরা বাংলাদেশের ড্রেসিংরুমের ভিউ জোনে পেয়ে যায় সাকিবকে। গায়ে তোয়ালে জড়িয়ে বসে আছেন তিনি। তার পাশেই অতিরিক্ত খেলোয়াড় শফিউল ইসলাম।
সাকিব আউট হন অকেশনাল বোলার প্রিয়ঞ্জনের করা ২১.২ ওভারে। লং অফে সেনানায়েকে ক্যাচ দিয়ে। আউট হওয়ার পরই নিজের ওপর বিরক্ত প্রকাশ করে মাঠ ছাড়েন তিনি।
এর অনেকক্ষণ পর যখন সাকিবের আউট আর ড্রেসিংরুমের বিষন্ন সাকিবকে একসঙ্গে দেখানো হচ্ছিল, ঠিক তখনই শরীরের গোপন অঙ্গের দিকে ইঙ্গিত করে প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।
সাকিবকে দেখানো হয়েছিল মোট তিনবার। প্রথম দুই বার কিছু না করলেও, তৃতীয় ও শেষবার ক্ষমার অযোগ্য অপরাধটি করে বসেন তিনি। সেটা মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিনেও দেখানো হয়।
এ সময় তার পাশে থাকা শফিউলকেও জায়ান্ট স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে মাথায় হাত দিতে দেখা যায়! তখনই মিডিয়া বক্সেও সমালোচনার রব ওঠে। পরে তা ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে।