রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

রাজশাহীতে গাড়িতে গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার!

রাজশাহীতে গাড়িতে গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার!

rape-sbরাজশাহীঃ প্রতিদিনই ধর্ষণের খবর পাওয়া যায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। এবার রাজশাহীর বাঘা এলাকায় এক গৃহবধূ (২৩) হিউম্যান হলারের যাত্রীরদের দ্বারা গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
৫ ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, পুঠিয়া উপজেলা সদরের এক গৃহবধূ পাবনার ঈশ্বরদী থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে হিউম্যান হলারযোগে পুঠিয়ার উদ্দেশে রওনা হন। সন্ধ্যায় বাঘা উপজেলা সদরে এসে পৌঁছান। এরপর বাঘা থেকে পুঠিয়ায় আসার উদ্দেশে শ্যালোমেশিনচালিত একটি ভুটভুটিতে ওঠেন। ভুটভুটিটি বাঘা উপজেলার আড়ানী থেকে ৫০০ গজ দূরে নির্জন মাঠে আসামাত্র ভুটভুটির যাত্রী আরিফ, মিলন, বুল্লা, মোহাম্মদ আলী ও চালক জরিপ গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারী ৫ জন বাঘা উপজেলার জোতরঘু গ্রামের বাসিন্দা বলে জানাগেছে।
একপর্যায়ে গৃহবধূ ধর্ষণকারীদের হাত থেকে রক্ষা পেলে আহত অবস্থায় অত্যন্ত কষ্ট করে রাত ৯টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলার সীমান্ত চারঘাট উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। এ সময় বাড়ির মালিক আলতাফ হোসেনকে বিষয়টি জানায়। এ সময় আলতাফ হোসেন দ্রুত গ্রামবাসীকে একত্রিত করে মাঠের মধ্য থেকে ৫ ধর্ষণকারীকে আটক করে। এ সময় ধর্ষণকারী এলাকাবাসীর হাতে গণপিটুনির শিকার হয়। এরপর তাদের চারঘাট মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
পুলিশ জানিয়েছে, এ বিষয়ে আসামীদের আদালতে প্রেরণ এবং তদন্তের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
banglanews26.com/২২.০২.২০১৪ /রাহিম

কাঠগড়া থেকে পালালেন ৪ আসামি

কাঠগড়া থেকে পালালেন ৪ আসামি

asami-sbঢাকাঃ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র জুবায়ের হত্যা মামলার চার আসামি আদালত থেকে পালিয়েছেন। জামিন বাতিল হওয়ার পরপরই তারা বিচারের কাঠগড়া থেকে পালান।
পলাতক আসামিরা হলেন—আশিকুর রহমান, খান মোহাম্মদ ওরফে রইস, মাহবুব আকরাম ও ইশতিয়াক।
রোববার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪-এ বিচারক এ বি এম নিজামুল হক আসামিদের জামিন বাতিলের আদেশ দেয়ার পর আদালতে উপস্থিত ওই চার আসামি কাঠগড়া থেকে পালান।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সরকারি কৌঁসুলি এস এম রকিবুল ইসলাম জানান, ছয় আসামির মধ্যে অন্য দুই আসামি রাশেদুল ইসলাম ও জাহেদুল খানের পক্ষে সময়ের আবেদন করা হলে আদালত তা নাকচ করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ মামলার অন্য সাত আসামি জামিনে রয়েছেন।
২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদকে কুপিয়ে জখম করে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা। পরদিন ভোরে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জুবায়ের। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হামিদুর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত বছরের ৮ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩ ছাত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় আশুলিয়া থানা পুলিশ। ওই বছরের ৮ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে  আদালত অভিযোগ গঠন করেন।
banglanews26.com/২৩.০২.২০১৪/রাহিম

গুলি না করায় ওসিকে মারলেন আ.লীগ নেতা

শীর্ষ নিউজ
সোনাগাজীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মাঝে সংঘর্ষের সময় বিএনপি কর্মীদের ওপর গুলি না করায় পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে মারধর করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গতকাল সোনাগাজী মডেল থানার ওসি আবু জাফর মো. সালেহকে সোনাগাজী বাজারের ব্র্যাক ব্যাংকের সামনে ঘুষি মারেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম খোকন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সকাল ১০টায় উপজেলা যুবদল নেতা গ্রেফতারের প্রতিবাদে ডাকা অর্ধদিবস হরতাল চলাকালে পৌর শহরে যুবলীগ-ছাত্রলীগের সঙ্গে যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে অন্তত ছয় রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল হোসেনকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে হরতাল চলাকালে গতকাল সকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতাকমীরা পৌর শহরে প্রায় অর্ধশত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে হরতালে বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। পরে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাফর মোহাম্মদ ছালেহ জানান, হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ ছয় রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কেউ হতাহত হয়নি।


‘মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই’ বইয়ের প্রকাশনা উত্সবে বিশিষ্টজনরা : নির্যাতিত জনগণের পক্ষে সত্য উচ্চারণ : করায় মাহমুদুর রহমান কারারুদ্ধ

স্টাফ রিপোর্টার


দেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদ বনাম গণতন্ত্রের লড়াই চলছে উল্লেখ করে বইয়ের প্রকাশনা উত্সবে বিশিষ্টজনরা বলেছেন, এ লড়াইয়ে নির্যাতিত জনগণের পক্ষে সাহসিকার সঙ্গে সত্য উচ্চারণ করায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বিনা বিচারে ১০ মাস ধরে কারারুদ্ধ রয়েছেন। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানদের পক্ষে কথা বলাই তার জন্য কাল হয়েছে। দেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, একদলীয় মিডিয়া ও শাসনে গণমাধ্যমের ওপর বর্তমানে সেলফ সেন্সরশিপ চলছে।
গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আমার দেশ-এর কারারুদ্ধ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের লেখা ‘মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা উত্সবে দেশের রাজনীতিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, আইনজীবীসহ বিশিষ্টজনরা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ এ প্রকাশনা উত্সবের আয়োজন করে। ২০৮ পৃষ্ঠার এ বইটি প্রকাশ করেছে কাশবান প্রকাশন। বইটি একুশে বইমেলার কাশবন প্রকাশনের ৩৯৪ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে প্রকাশনা উত্সবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তক কবি ফরহাদ মজহার, বিশিষ্ট
সাংবাদিক শফিক রেহমান, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আ ফ ম ইউসুফ হায়দার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (আইইবি) ঢাকা কেন্দ্রের সভাপতি প্রকৌশলী মহসিন আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, আমার দেশ-এর ফিচার সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ, বইটির প্রকাশক ও কাশবন প্রকাশনার স্বত্বাধিকারী আমিনুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, আমার দেশ-এর বার্তা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ ও সম্পাদক মাহমুদুর রহমান জেলে কেন প্রশ্ন রেখে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া বলেন, নির্যাতিত জনগণের পক্ষে সাহসিকার সঙ্গে সত্য উচ্চারণ করায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বিনা বিচারে ১০ মাস ধরে কারারুদ্ধ রয়েছেন। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানদের পক্ষে কথা বলাই তার জন্য কাল হয়েছে। তিনি এই অবৈধ সরকারের বিচার বিভাগের কাছে নিজের জামিন পর্যন্ত চাননি। আসলে ফ্যাসিবাদী এ সরকার চায় না সত্য প্রকাশ হোক।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ পরিষ্কারভাবে সংবিধানের পরিপন্থী উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সংসদে জনগণের প্রকৃত প্রতিনিধিত্ব নেই। সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে, জনগণের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে হবে। কিন্তু বর্তমান এমপিরা নির্বাচিত নন। এজন্য ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের সংসদ বলেছে এ নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য। সরকারকে দখলবাজ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ভোটবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা ক্ষমতা দখল করেছে। এ সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে পুরো দেশটাকেই কারাগার বানিয়েছে। বর্তমান সংসদ জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা পরিচালিত হয় না।
দলমত নির্বিশেষে সবাইকে মাহমুদুর রহমানের লেখা ‘মুসলমানের মানবাধিকার থাকতে নেই’ বইটি পড়ার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, সারা বিশ্বেই বর্তমানে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। তার বিবরণ মাহমুদুর রহমানের এ বইটিতে রয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত ষড়যন্ত্র ষড়যন্ত্রই থেকে যায়, তা বাস্তবায়ন হয় না। মাহমুদুর রহমানের মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জনগণের সহ্য শক্তির ওপর নির্ভর করে অন্যায়কারী সরকার কতদিন ক্ষমতায় থাকবে। প্রধানমন্ত্রী বিবেকবান হলে এতোদিন মাহমুদুর রহমান কারাগারে থাকতেন না। তাকে দীর্ঘদিন জেলে রাখা অত্যাচারী শাসকের জন্য কাল হতে পারে।
অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের জনগণ এই স্বৈরাচারী সরকারকে চায় না। সরকার জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করেছে। সত্ সাহস নিয়ে সত্য বলার কারণেই আজ মাহমুদুর রহমানকে জেলে আটকে রেখেছে এই অবৈধ সরকার। মাহমুদুর রহমানকে বাংলাদেশের বাক স্বাধীনতার সাহসী সৈনিক উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সরকারকে বলবো, অবিলম্বে তার মুক্তি ও আমার দেশ পত্রিকা খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় রাজপথে জোর আন্দোলনের মাধ্যমেই দাবি আদায় করা হবে।
দেশে বর্তমানে ফ্যাসিবাদ বনাম গণতন্ত্রের লড়াই চলছে উল্লেখ করে কবি ফরহাদ মজহার বলেন, ৯০ ভাগ মুসলমানের ধর্মকে বর্তমানে ক্রমাগতভাবে অবমাননা করা হচ্ছে। প্রত্যেক মানুষের ধর্ম নিয়ে চিন্তার অধিকার রয়েছে। অথচ বাংলাদেশে মুসলমানদের পক্ষে কথা বললেই কথিত বুদ্ধিজীবীরা তাকে মৌলবাদী আখ্যা দেয়। বিএনপির উদ্দেশে তিনি বলেন, এ দেশে যারা গণতন্ত্র ও ইসলামের জন্য লড়াই করে তাদের সঙ্গে ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। দেশের জনগণ বিএনপিকে এখন আর তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আন্দোলন করে ক্ষমতায় বসাতে চায় না। জনগণ বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে জানতে চায়। আপনারা ইসলামের পক্ষে আছেন কিনা? আপনারা জনগণের সামনে আপনাদের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করুন। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এ সরকারের ওপর কতটা ক্ষুব্ধ তা দু’-একটি মিডিয়া দেখলে বোঝা যাবে না। এজন্য গ্রামগঞ্জে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।
সাংবাদিক শফিক রেহমান বলেন, মুসলমানদের নিয়ে কেউ কিছু লিখলেই তাকে নির্যাতন করা হচ্ছে। মাহমুদুর রহমান নির্যাতিত মুসলমানদের পক্ষে কথা বলায় তাকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার দেশ, দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ, টকশোর ওপরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং দেশে একদলীয় মিডিয়া ও একদলীয় শাসন চলছে। কেউ তার কথা সঠিকভাবে উচ্চারণ করতে পারছে না। গণমাধ্যমসহ সবকিছুর ওপর সেলফ সেন্সরশিপ চলছে।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান আর কতদিন জেলে থাকবেন তা কেউ বলতে পারবেন না। তাকে মুক্ত করতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন করতে হবে। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, দেশে বর্তমানে এতো দলীয় মিডিয়া রয়েছে, তারপরও মাহমুদুর রহমানের লেখার জবাব দিতে পারছেন না। জবাব দিতে না পারলে গুডবাই বলে ক্ষমতা ছেড়ে বেরিয়ে যান।
রুহুল আমিন গাজী বলেন, মাহমুদুর রহমান সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার প্রতীক। কিন্তু আমরা অকৃতজ্ঞ যে তার মুক্তির জন্য কিছু করতে পারিনি। তিনি বলেন, আমার দেশ, দিগন্ত ও ইসলামিক টিভি বন্ধ। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশে আজ মুসলমানরা নির্যাতিত হচ্ছে। তাদের মানবাধিকার বলতে কিছু নেই।


তিন মাসের সন্তানকে বিক্রি করলো মা

তিন মাসের সন্তানকে বিক্রি করলো মা

kolkata-sbকলকাতাঃ অভাবের তাড়নায় এবার আসানসোলে তিন মাসের সন্তানকে বিক্রি করেছে এক মা। অভিযোগ রয়েছে মাত্র একহাজার টাকার বিনিময়ে স্থানীয় এক দম্পতির কাছে নিজ সন্তানকে বিক্রি করে দেন লক্ষ্মী হাঁড়ি নামে ওই মা।
জানা যায়, তিন মাস আগে এক পুত্রসন্তানের জন্ম দেন লক্ষ্ণী। কিন্তু কীভাবে বড় করবেন ছেলেকে? কারণ মাথাগোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই লক্ষ্মীর। তার ওপর রয়েছে আরো তিন সন্তান। চতুর্থ সন্তানের জন্মের আগেই মারা গেছে স্বামীও। নিজেরতো বটেই অন্য সন্তানদেরও খাওয়ার সংস্থানটুকুও করে উঠতে পারছিলেন না লক্ষ্মী। অভিযোগ এই অবস্থাতেই কোলের সন্তানটিকে এলাকার এক দম্পতির কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। এরইমধ্যে ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।

0

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ পর্যন্ত নতুন বই এসেছে ২২৫১টি

অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ পর্যন্ত নতুন বই এসেছে ২২৫১টি

ঢাকা : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ পর্যন্ত নতুন বই এসেছে ২২৫১টি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এসেছে কবিতার বই।
তবে আজ মেলার ২২তম দিনে নতুন বই এসেছে ১৬০টি এবং মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে ২০টি বইয়ের।
মেলার দিন যতই ফুরিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে পাঠক-দর্শনার্থীর সংখ্যা। সেই সঙ্গে খ্যাতিমান লেখকদেরও ঘনঘন দেখা যাচ্ছে মেলা প্রাঙ্গণে। তবে তারা পাঠকদের বইয়ে অটোগ্রাফ দিতেই ব্যস্ত থাকছেন বেশি। তাদের মধ্যে থেকে আজ মেলায় দেখা গেছে কথাসাহিকিত্যক অধ্যাপক জাফর ইকবাল, আনিসুল হক ও মোহিত কামালকে।
শনিবার সরকারী সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় এবারের মেলার শেষ শিশু প্রহর ছিল আজ। তাই মেলার দ্বার খুলেছে সকাল ১০টায়। প্রকাশকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকেই বিপুল বইপ্রেমী মেলায় আসতে শুরু করে। শিশু প্রহর থাকলেও শিশুদের সঙ্গে সঙ্গে বড়দেরও আগমন ঘটেছে।
মেলায় আজ ছিল শিশুপ্রহর
এবারের মেলার সর্বশেষ শিশুপ্রহর ছিল আজ। তাই সকাল থেকে মেলা প্রাঙ্গণে শিশুদের মুক্ত বিহঙ্গের মত ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। শিশুরা তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়ায় ও পছন্দের বইটি কিনে নিয়েছে। শিশুদের কেনাকাটার জন্য আজ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ছিল শিশুপ্রহর।
এদিকে আজ সকাল ৯টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অমর একুশে উদ্যাপনের অংশ হিসেবে শিশু-কিশোরদের চূড়ান্ত সংগীত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় ক-শাখায় ১৫ জন এবং খ-শাখায় ১৫ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কল্যাণী ঘোষ, সুজিত মোস্তফা এবং মাহমুদ সেলিম। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয়ী শিশু-কিশোরদের হাতে পুরস্কার প্রদান করা হবে।
লেখকের কথা
কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, আমি দরজা জানালা খোলা রাখার পক্ষপাতি। কারণ শিশু, কিশোর বা তরুণ যে-ই হোক, তারা যদি বিদেশী লেখকের বই পড়ে তাহলে বিদেশী সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে আমরা শিশুদের বিদেশী কোন্ বইটি পড়তে দেব। এক্ষেত্রে প্রকাশককে সচেতন হতে হবে।
তিনি বলেন, আকাশ সংস্কৃতির কারণে আমাদের শিশুরা সর্বক্ষণই বিদেশী কার্টুন বা রূপকথার কল্পকাহিনী শুনছে ও দেখছে। যেহেতু এ সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হতে পারছি না, সে ক্ষেত্রে আমাদের টিভি চ্যানেলগুলোর উচিত দেশীয় লোকসাহিত্য, ঠাকুরমার ঝুলি, ঈশপের গল্প নিয়ে বিদেশী চ্যানেলগুলোর মত কার্টুন ও রূককথার গল্প তৈরি করা। যেন আমাদের শিশুরা নিজস্ব সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে বিদেশী সংস্কৃতির ভালটি গ্রহণ করতে পারে।
মেলার মূলমঞ্চে
গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে আজ ‘রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । এতে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী। অনুষ্ঠানে দু’টো পৃথক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যথাক্রমে অধ্যাপক গোলাম মুস্তাফা এবং পার্থ সেন গুপ্ত। আলোচনা অংশগ্রহণ করেন অনিরুদ্ধ কাহালি, দিব্যদ্যুতি সরকার এবং মোহাম্মদ আজম।
প্রাবন্ধিকদ্বয় বলেন, বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান কৃষ্ণমোহন আপন মেধায় সমকালীন সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সমাজ-সংস্কারে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। কর্মক্ষেত্রে তিনি ছিলেন একাধারে- শিক্ষক, যাজক, সাংবাদিক, গ্রন্থ-অনুবাদক ও রচয়িতা, সমাজ-সংগঠক, রাজনৈতিকÑচিন্তক ও দেশপ্রেমিক। অখন্ড ভারতে তিনিই প্রথম বিশ্বকোষ-প্রণেতা।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, বিশ্বকোষ প্রণয়ন ও মুক্তবুদ্ধি চর্চায় রেভারেন্ড কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় এক স্মরণীয় নাম। বাংলা একাডেমি জন্ম দ্বি-শতবর্ষে তাঁকে স্মরণ করে তাঁর সঙ্গে সঙ্গে ঊনিশ শতক পুনর্পাঠের সুযোগ করে দিয়েছে।
আগামীকালের অনুষ্ঠান
আগামীকাল বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে অধ্যাপক আবদুল হাফিজ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করবেন শামসুজ্জামান খান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন কথাশিল্পী সেলিনা হোসেন। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন তসিকুল ইসলাম রাজা, শাহিদা খাতুন এবং মোস্তফা তারিকুল আহসান। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাসস

২১.০৪/banglanews26.com/পিনটু
https://www.facebook.com/https://www.facebook.com/banglanews26?skip_nax_wizard=truehttp://shapnopuron.blogspot.com/