বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

নারীর শারীরিক মিলন ও প্রজননের ভুল ধারণা গুলো

নারীর শারীরিক মিলন ও প্রজননের ভুল ধারণা গুলো

125
নারীর প্রকৃতিপ্রদত্ত একটি ক্ষমতা হলো সন্তান গর্ভে ধারণ করা ও জন্ম দেওয়া। কিন্তু অবাক করা হলেও সত্যি এই যে, এই ক্ষমতার ব্যাপারে বেশিরভাগ মানুষেরই রয়েছে ভীষণ ভুল কিছু ধারণা। একেবারেই সাধারণ এসব ব্যাপারে শুধু নারী নন, বরং আমাদের সবারই জেনে রাখা উচিৎ। কেননা এইসব ভুল গুলো নিরীহ নয় মোটেই। বরং সব ভুল ধারণা লালন করার জন্য একজন নারী পড়তে পারেন নানান রকম সমস্যায়। আসুন দেখে নেওয়া যাক যৌন প্রজনন, অর্থাৎ সন্তান ধারণ এবং জন্মদানের ব্যাপারে আমাদের কী কী ভুল ধারণা রয়েছে এবং এসবের পেছনে সত্যটা কী?


১) খুব প্রচলিত একটি কুসংস্কার জাতীয় ধারণা হলো, দিনে একবারের বেশি শারীরিকভাবে মিলিত হলে তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা বাড়বে। কেউ কেউ এমনটাও বিশ্বাস করেন, বিশেষ কিছু অবস্থানে মিলিত হলে তাদের গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি হতে পারে।
২) গর্ভধারণের জন্য আসলে যে ব্যাপারগুলো কাজ করে তার ব্যাপারে জানেন না অনেকেই। যেমন বয়স বাড়ার সাথে সাথে যে উর্বরতা এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমতে থাকে তা জানা নেই অনেকেরই। বিভিন্ন যৌনরোগ বা ইনফেকশনের ফলে কমে যায় গর্ভধারণের ক্ষমতা- এটাও জানেন না অনেকেই।
৩) গর্ভধারণের জন্য নারীদের শরীরে থাকতে হয় ডিম্বাণু। এই ডিম্বাণু জন্ম থেকেই একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে থাকে নারীর শরীরে। এটা সময়ের সাথে সাথে কমে যায়, নতুন করে তৈরি হয় না। অনেকেই এ ব্যাপারটা জানেন না এবং মনে করেন ডিম্বাণু আবার নতুন করে তৈরি হবে।
৪) বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির যত অগ্রগতি ঘটছে, ততই বাড়ছে গর্ভপাত এবং জন্মগত ত্রুটির সংখ্যা। এবং এর জন্য অনেকাংশেই দায়ী প্রচণ্ড গতিশীল জীবন যাত্রা। এবং এ ব্যাপারে অনেকেই সচেতন নন।
৫) নিজের শরীরের গঠনের ব্যাপারেও সচেতন নন অনেক নারীই। ঋতুস্রাবের ঠিক ১৪ দিন আগে ডিম্বপাত হয় এবং এ সময়টায় যে গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, এটা জেনে রাখা উচিৎ সবারই। যারা গর্ভধারণ করতে চান এবং যারা গর্ভধারণ এড়াতে চান উভয়ের জন্যেই এটা জেনে রাখা জরুরী।
৬) ঋতুস্রাবের সময়ে ব্যাথা বা অনিয়মিত ঋতুচক্র অনেকেরই আছে, এটা যে গর্ভধারণের সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এটা জানেন না অনেকেই। ব্যথা স্বাভাবিক ধরে নিয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হন না।
৭) অতিরিক্ত ওজন বা ওবেসিটির কারণে অনেক রোগ হয়ে থাকে, এটা আমাদের জানা। কিন্তু এর প্রভাব যে আমাদের প্রজননক্ষমতার ওপরে পড়ে, তা আমলে আনেন না কেউ।
নিজের প্রজননতন্ত্রের ব্যাপারে এতসব ভুল ধারণা এবং জ্ঞানের ঘাটতি থাকার মূল কারণ হলো চিকিৎসক বা স্বাস্থ্যসেবাদানকারী কোনো ব্যক্তির সাথে কথা না বলা। শারীরিক সমস্যা থাকুক বা না থাকুক, নিজের শরীরের ব্যাপারে যথেষ্ট জ্ঞান রাখা আমাদের সবারই কর্তব্য। আর এর মাধ্যমে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখাও হয়ে উঠবে অনেক সহজ।

বাংলা নিউজ 26.com/সানজানা

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন