শনিবার, ১ মার্চ, ২০১৪

মোবাইলে প্রেম, পরে প্রেমিক ও তার বন্ধুদের রাতভর গণধর্ষণ : গোপালগঞ্জে ধর্ষিত শিশু, পরিবারকে হত্যার হুমকি

ডেস্ক রিপোর্ট




মোবাইলে প্রেম হয় ঝালকাঠির তরুণীর সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের এক বখাটের। একপর্যায়ে প্রেমের টানে ঘর ছেড়ে তরুণীটি নারায়ণগঞ্জ গেলে প্রেমিক ও তার বন্ধুদের হাতে রাতভর ধর্ষণের শিকার হয় সে। ঘটনা জানজানি হলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় শহর জুড়ে।
এ ঘটনার বাইরে গোপালগঞ্জে ধর্ষিত হয়েছে এক শিশু। ধর্ষণের পর ঘটনা মীমাংসার দাবিতে উল্টো ধর্ষিতার পরিবারকেই হত্যার হুমকি দিয়েছে ধর্ষকের পরিবার।
বিস্তারিত আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :
গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে ধর্ষিত এক শিশুর পরিবারকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ষকের এক স্বজন। গতকাল শুক্রবার বিকালে শিশুটির বাড়ি গিয়ে এ হুমকি দেয়া হয় বলে তার স্বজনরা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কোটালীপাড়া উপজেলার মান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে একই গ্রামের সেকেন্দার শেখের ছেলে সোহাগ শেখ (২০)। মেয়েটি এখন গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছে। মেয়েটির মায়ের অভিযোগ,
সেকেন্দার শেখের ছেলে সোহাগ শেখ নির্জন পুকুর পাড়ে নিয়ে তার মেয়েকে ধর্ষণ করে। ঘটনার পরই তাদের প্রতিবেশী ইসনাস মোল্লা ধর্ষক সোহাগ শেখকে আটক করে।

চট্টগ্রামে এ্যাবের সমাবেশে আমির খসরু : স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাহমুদুর রহমান ইতিহাস হয়ে থাকবেন চট্টগ্রাম ব্যুরো





বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চট্টগ্রাম নগর বিএনপি সভাপতি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, প্রহসনের নির্বাচনের পর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকা ছাড়া আওয়ামী লীগের সামনে আর কোনো বিকল্প পথ খোলা নেই। জনসম্পৃক্ততা না থাকায় আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ওপর জুলুম নির্যাতন আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে, এই অত্যাচার নির্যাতনের ভারেই তাদের পতন ঘটবে।
বর্তমান সরকার ও সংসদকে অবৈধ আর মন্ত্রী এমপিদের সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, অবৈধ সরকার বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আগের চেয়ে আরও জোরালো ও দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও ইসলামী মূল্যবোধ রক্ষায় আপসহীন ভূমিকার জন্য মাহমুদুর রহমান শুধু বাংলাদেশ নয়, এতদঞ্চলের ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন। তিনি একদিকে শাসক গোষ্ঠীর নিপীড়নের শিকার অন্যদিকে অনেক সাংবাদিকের ঈর্ষারও শিকার হয়েছেন ।
গণতন্ত্র হত্যা, ফ্যাসিবাদী কায়দায় নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং নির্ভীক কলম যোদ্ধা মাহমুদুর রহমানের মুক্তির দাবিতে গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সেমিনার হলে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (অ্যাব) চিটাগং চ্যাপ্টার আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
অ্যাব সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কেএম সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মোহাম্মদ জানে আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন, বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ, নগর বিএনপি সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান, মহিলা দল সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, দৈনিক আমার দেশ চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিএমইউজে) সাধারণ সম্পাদক মো. শাহনওয়াজ।
আমির খসরু তার বক্তব্যে বলেন, প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের যে সিদ্ধান্ত বিএনপি নিয়েছিলো তা সঠিক ছিল। কেননা শুধু আওয়ামী লীগ বা হাসিনা নয়, বরং একটি বিরাট শক্তি আওয়ামী লীগকে বিজয়ী ঘোষণা করার সব প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলো। এ ধরনের নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করেছে আর আওয়ামী লীগ আস্থা হারিয়েছে। তারা আর কোনোদিন দেশের মানুষের কাছে ফিরে যেতে পারবে না। নতুন জেনারেশন যারা আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদি ও বাকশালী চরিত্র জানতো না, তারা দেখেছে এই দলটি কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্যাতন নিপীড়নের সব সীমা অতিক্রম করেছে, যে কোন সময় দেশে জনবিস্ফোরণের মাধ্যমে তাদের পতন ঘটবে।
আমির খসরু বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতায় মাহমুদুর রহমানের মতো সুশিক্ষিত মানুষ আর নেই। তার লেখনী শক্তি ও গুণাবলী এতো বেশি বিস্তৃত যে, তিনি যে কোনো বিষয় নিয়েই অনর্গল লিখে যেতে পারেন, যা অন্য অনেক সম্পাদক পারেন না। এ কারণে তিনি অনেক সাংবাদিকেরও ঈর্ষার শিকার।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমান দেখিয়ে দিয়েছেন কিভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের মুখেও একজন ব্যক্তি তার সততা আর সাহস নিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কতোটা দৃঢ় অবস্থানে থাকতে পারেন। তাই তিনি এই অঞ্চলের ইতিহাসের এক উজ্জল চরিত্র হয়ে থাকবেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশে জঙ্গিবাদের জন্মদাতা। তারা এখন গুম খুন আর নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে নব্য বাকশাল কায়েম করেছে। আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
তিনি বলেন, শুধু সত্য কথা বলার জন্য নির্ভীক কলম সৈনিক মাহমুদুর রহমানকে জেলে যেতে হয়েছে। আমরা হাসিনা সরকারের কাছে তার জামিন চাই না। কারণ, ফ্যাসিবাদ নির্মূল করতে গিয়েই তিনি জেলে গেছেন। ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে মুক্তি দিবে এমন আশাও আমরা করি না। দেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশে মাহমুদুর রহমান আবার ফিরে আসবেন।
প্রফেসর ড. হাসান মোহাম্মদ বলেন, নািস জামানায় হিটলার বলতেন এক নেতা এক দেশ, আর একইভাবে আমাদের দেশে ’৭২ সালের দিকে বলা হতো এক নেতা এক দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ।
আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় গেছে তখনই দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত জানে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কাউকে দিয়ে তারা তাদের কায়েমি স্বার্থরক্ষা করতে পারবে না। তাই গণতন্ত্র ধ্বংস করে তারা এই দলকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা দল নেত্রী জেলী চৌধুরী, প্রকৌশলী অছিউর রহমান, লায়ন ফজলুল হক, বিএনপি নেতা আবদুল আজিজ, এফএম সাইফুল আলম প্রমুখ।

ঢাকা বারে আ.লীগ সমর্থকদের ভরাডুবি : সভাপতি মহসীন মিয়া, সম্পাদক মোসলেহ উদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১৮টি পদে জয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে জাতীয়তাবাদী ও ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী নীল প্যানেল।
সারাদেশে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যেই আইনজীবীদের এ নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলের। কেবল ছয়টি সদস্য পদে জয় পেয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) প্রার্থী অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান মানিককে হারিয়ে ঢাকা বারের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) অ্যাডভোকেট মহসীন মিয়া।
আর সাধারণ সম্পাদক পদে নীল প্যানেলের অ্যাডভোকেট মোসলেহ উদ্দিন জসীম হারিয়েছেন সাদা প্যানেলের অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেনকে।
২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনে ২৫টি পদের মধ্যে সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩টিতে জাতীয়তাবাদী-ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী আইনজীবীরা এবং সভাপতিসহ ১২টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থক সাদা প্যানেল বিজয়ী হয়েছিল।
এবার কোষাধ্যক্ষ পদে সাদা প্যানেলের প্রার্থী ভোট গণনায় অনিয়মের অভিযোগ তোলায় শনিবার আবারও গণনা করে
ফল ঘোষণা হবে বলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আব্দুস সবুর জানান। বুধবার সকাল ৯টা থেকে দু’দিন ভোটগ্রহণের পর গতকাল দুপুরে গণনা শেষে ফল ঘোষণা করেন তিনি।
সমিতির ২৫টি পদের বিপরীতে এবার রেকর্ড ৭১ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন। ১৪ হাজার ৩১০ জন ভোটারের মধ্যে আট হাজার ১৭৫ জন ভোট দিয়েছেন অর্থাত্ ভোট পড়েছে ৫৭ শতাংশের কিছু বেশি।
সভাপতি পদে বিজয়ী মহসীন পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৮৮ ভোট আর মানিক পেয়েছেন ৩ হাজার ১৯০ ভোট। আর সাধারণ সম্পাদক পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জসীম জয় পেয়েছেন মাত্র দশ ভোটে। তার ৩ হাজার ৬ ২৬ ভোটের বিপরীতে পরাজিত প্রার্থী মোশাররফ পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৬ ভোট।
সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে রেজাউল করিম নিজাম, সহ-সভাপতি পদে জহির রায়হান জসিম, সিনিয়র সহ-সাধারণ সম্পাদক পদের আবু ইউসুফ সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরিফুর রহমান রঞ্জু, লাইব্রেরি সম্পাদক পদে আহমদ উল্যাহ আমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আফরোজা আলম লাকী ও দফতর সম্পাদক পদে শহীদ গাজী জয়ী হয়েছেন।
তারা সবাই জাতীয়বাদী-ইসলামী মূল্যবোধ সমর্থিত নীল প্যানেলের প্রার্থী। কোষাধ্যক্ষ পদেও নীল প্যানেলের মো. শামসুজ্জামান সাদা প্যানেলের মকবুল হোসেনের চেয়ে এগিয়ে আছেন। ১৫টি সদস্য পদের মধ্যে ৯টিতে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয়বাদী সমর্থকরা। বাকি ৬টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা জয়ী হয়েছেন।

কারাগারে থেকেই পুনরায় উপজেলা চেয়ারম্যান

শেরপুর প্রতিনিধি
ক্যাপশন যুক্ত করুন
দ্বিতীয় দফার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বাদশা। তিনি বর্তমানে দুদকের দায়ের করা মামলায় জেলা কারাগারে আটক রয়েছেন। ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাদশা ৩২ হাজার ৪২৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএমএ ওয়ারেছ নাঈম পেয়েছেন ২৭ হাজার ৩৮৬ ভোট।
এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপি সমর্থিত আমিরুল ইসলাম মক্কু ১৬ হাজার ৬৫৭ ভোট এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী লাইলি বেগম ২০ হাজার ৬৯০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়ে
banglanews26.com
ছেন।

আদর্শ পুত্রবধূ হতে চান? জেনে নিন অবশ্যই করণীয় ৫টি কাজ

আদর্শ পুত্রবধূ হতে চান? জেনে নিন অবশ্যই করণীয় ৫টি কাজ

wedding girlনিউজ ডেস্ক : বিবাহিত জীবনে বর্তমান সময়ে এমন সুখী মানুষ কমই পাওয়া যায়। কেউ নিজের বউ নিয়ে অসুখী, আবার কেউ নিজের স্বামীকে নিয়ে। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যাটা দেখা দেয় যখন বউ-শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য হয়। বউ-শাশুড়ির মধ্যে কিছুটা মানসিক দূরত্ব থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সেই মানসিক দূরত্বটা যদি রীতিমতো ঝগড়াঝাঁটির কারণ হয়ে দাঁড়ায় তাহলে তা সৃষ্টি করে সাংসারিক অশান্তি। অনেক সময় এসব কারণে স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। এইসব সমস্যার কারণে অনেক সময় বিবাহ বিচ্ছেদও ঘটে থাকে।

১২ ধরনের মেয়ে থেকে সাবধান!

১২ ধরনের মেয়ে থেকে সাবধান!

140ডেস্কঃ সম্পর্কে জড়ানোর আগে পৃথিবীর সব পুরুষদের সাবধান করছেন মনোবিজ্ঞানী আর গবেষকরা। তাঁদের গবেষণায় ১২ রকমের মেয়েদের খুঁজে পাওয়া গেছে যাদের সাথে সম্পর্ক গড়া তো দূরের কথা, এক দিনের জন্যে ডেটিংয়ে যাওয়াটাই বড় ভুল বলে গণ্য হবে আপনার জীবনে। এই ১২ ধরনের মেয়েদের সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেয়া যাক।
১. আমিই সর্বেসর্বা: এ জাতীয় মেয়েরা সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ পেতে ব্যাপক আগ্রহী। তারা বোঝাতে চান যে, আমরাই সর্বশ্রেষ্ঠ। বড় কোনো বিষয়ে তো বটেই, এমনকি ছোটখাট ব্যাপার যেমন- ঘুরতে যাওয়া বা রেস্টুরেন্টে বসে খাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুতেই এ মেয়েরা ওস্তাদি ফলাতে তৎপর থাকেন। তাই এমন মেয়েদের থেকে ১০০ হত দূরে থাকুন।
২. আপনার টাকা খসাতে পটু: এমন আচরণ দিন-দুপুরে ডাকাতির সমতুল্য। আপনার সাথে ডেটিংয়ের দিনটিতে তার একমাত্র কাজই হবে নিজের পছন্দের গিফট কেনা, প্রিয় খাবার গোগ্রাসে গেলা, সিনেমা দেখতে যাওয়া আর সম্ভব হলে প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় দুনিয়ার তাবৎ জিনিস কিনে বাসায় ফেরা। আপনার প্রিয়তমা কী এমন করেন?
৩. বন্ধুপ্রাণ চরিত্র: সে আপনার কাছে শুধুই তার যতো বেস্ট ফ্রেন্ডদের গল্প বলতে অস্থির থাকবে। তার জন্মদিনের পার্টিতে আপনি না আসলে হবেই না- এমন ভাব দেখাবে। কিন্তু গিয়ে দেখবেন সে সারাক্ষণ তার বেস্ট ফ্রেন্ডদের চারপাশে ঘুরঘুর করছে। আপনি যে সেখানে আছেন, তা যেন সে জানেই না।
৪. তার মনজুড়ে আছে অন্য কেউ: আপনার সাথে বেশ খাতির হয়েছে মেয়েটির। কাছে বসে গল্প করে, প্রায়ই ফোনে কথা বলেন। আপনি হয়ত বেজায় খুশি এমন একটি মেয়ের সাথে ভাব হয়ে। আর আপনার চালচলনে যদি এমন ভাব থাকে যে, তোমার ইচ্ছাই আমার কর্ম; তাহলেই আপনি ফেঁসেছেন। এমন মানসিকতার কারণেই সে আপনার সাথে সম্পর্ক রেখেছে। আদেশ-নিষেধের কাজটি সে আপনার ওপর ফলাতে মজা পায়। মূলত: এমন মেয়েরা কোনো ছেলের প্রতিই দুর্বল নয়। এমনও হতে দেখা গেছে, সে আপনার সাথে ভাব জমিয়েছে আসলে আপনার বন্ধুটিকে পাওয়ার জন্যে।
৫. সে তো আকাশের তারা: আপনার অবস্থা শোচনীয় হবে যদি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় বা এলাকার সেরা সুন্দরীকে আপনি প্রেমিকা হিসেবে পেতে চান। এই সুন্দরীর প্রতি অন্য ছেলেদের নিবদ্ধ দৃষ্টিতে আপনি হয়ে পড়বেন অসহায়। আর প্রেমিকার অহংকার হতে থাকবে আকাশচুম্বী। সুদর্শন সুপুরুষ হলেও এ পরিস্থিতিতে আপনি তার কাছে অনেকের মধ্যে একজনমাত্র। কারণ সে তো মহাসুন্দরী আফ্রোদিতি। এ মেয়ের ছায়ায় কি আপনি থাকতে চান?
৬. তুলনার জালে জর্জরিত আপনি: মেয়েটিকে ভালবেসে আপনি হয়ত আপনার অন্তরের সবটুকু উজাড় করে দিয়েছেন। দেখাতে চান, আমিই তোমার জীবনে সেরা পুরুষ। এ কাজটা নিতান্তই উলু বনে মুক্তো ছড়ানোর মতো। আপনার সকল প্রচেষ্টাই বিফলে যাবে যখন সে যেকোনো কাজে অন্যের সাথে আপনার তুলনা করবে। তার অন্য বান্ধবীর প্রেমিকা কী কী করেন বা তার আগের প্রেমিক কী করতো এসব গল্পের খই ফুটবে তার মুখে। কাজেই এমন বৃথা চেষ্টায় ক্ষান্ত দিন আর এমন প্রেমিকার সঙ্গ ত্যাগ করুন।
৭. অভিযোগের তীরে আপাদমস্তক বিদ্ধ আপনি: আপনার আত্মনির্ভরশীলতা খোয়াতে এমন একটি মেয়েই যথেষ্ট। তার কাজই হলো আপনার সব কাজে ভুল ধরা, তা ভুল বা ঠিক যাই হোক না কেনো। তার একটিই অভিযোগ, আপনি একটি কাজও ঠিক মতো করতে পারেন না। আপনাকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না ইত্যাদি ইত্যাদি।
৮. মিস হিংসুটে: সম্পর্কের পর আপনার সবচেয়ে কাছের বন্ধুটি হবে তার জীবনের সবচেয়ে বড় শত্রু । তার প্রথম কাজই হবে বন্ধুর সাথে আপনার সম্পর্কের ইতি ঘটানো। বন্ধুর সাথে আপনি আড্ডা দিচ্ছেন বা সিনেমা দেখতে যাবেন বা কোথাও ঘুরতে যাবেন- এ সব কাজেই বাধা হয়ে দাঁড়াবে আপনার প্রেমিকার হিংসাভাব। সে আপনাকে কোনো সুযোগই দিতে চাইবে না। এমন হিংসা ভারাক্রান্ত মনের সাথে মন না মেলানোই উত্তম।
৯. মূর্তিমান বিভীষিকা: মিষ্টি প্রেমিকার মধ্যে কুৎসিত বিভীষিকা দেখবেন যখন সে আপনার মোবাইলে আপনারই কোনো মেয়ে বন্ধুর নম্বর থেকে ফোন আসতে দেখবে। কোনো মেয়ের সাথে কোনো সম্পর্কই সে মেনে নেবে না। অবধারিতভাবে সে আপনার মোবাইলের কললিস্ট ঘেঁটে দেখবে এবং মেসেজ দেখার জন্যে তোলপাড় করবে। এমনকি সে তার একটি বান্ধবীর সাথেও আপনার দেখা করাবে না।
১০. আচরণ বড়ই বিভ্রান্তিকর: চেনাজানা সুন্দরী মেয়েটা আপনাকে ভালবাসি কথাটা বলে ফেলল। স্বপ্নের ঘোরে আবিষ্ট হয়ে দিন কাটে আপনার। কিছুদিন একসাথে ঘোরাঘুরির পর বুঝলেন আপনি আসলে তার বডিগার্ড টাইপের কেউ। কষ্ট পাবেন না। বুঝে ফেলেছেন যখন, মানে মানে কেটে পড়ুন।
১১. আবেগের বলী: মাত্র এক মাস বা মাস কয়েকের সস্পর্কেই আপনাকে বিয়ে করার জন্যে পাগল হয়ে গেলো মেয়েটি। কতটাই না ভালবাসে আপনাকে! আবেগতাড়িত হয়ে তাকে পাওয়ার জন্যে আপনিও পাগলপ্রায়। এই পরিস্থিতিতে একটু ভাবুন, এ অল্প সময়ে দুজন দুজনের ব্যাপারে কতটুকুই বা জানেন। এ আবেগ গড়াতে দিন, তাকে জানুন। সত্যিকার অর্থে মেয়েটি আপনাকে ভালবেসে থাকলে তাকে আপনি কিছুদিন পরে হলেও পাবেন। আর ভেজাল থাকলে, মেয়েটির উদ্দেশ্য আসলে আপনাকে আবেগ দিয়ে ঘায়েল করে বিয়ের কাজটা সেরে ফেলা।
১২. কট্টোর নারীবাদী: তার কথাবার্তায় আর ভাব-ভঙ্গিতে মনে হয় যেনো এ দুনিয়ায় তার আবির্ভাব ঘটেছে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ থেকে মেয়েদের রক্ষার জন্যে। ছেলেদের প্রতি তার কোনো সম্মানবোধ নেই। আপনার সাথে সম্পর্কে জড়ালেও ‘তোমরা ছেলেরা এমন কিভাবে হতে পারো’ এ মন্তব্যটি প্রায়ই শুনতে হয় আপনাকে। এমন মেয়েদের অন্য মেয়েরাই পছন্দ করে না। এমনকি এ ধরনের একটি মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ালে অন্য মেয়েরাই আপনাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখবে। কাজেই এমন কট্টরপন্থী নারীবাদীকে দূরেই রাখুন

প্রেমিককে যেসব কথা বলা উচিত নয় মেয়েদের

প্রেমিককে যেসব কথা বলা উচিত নয় মেয়েদের

298স্বভাবতই মেয়েরা একটু বেশি কথা বলে থাকে। প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় সকল ধরণের কথার ফুলঝুরি তৈরিই থাকে মেয়েদের কাছে। নিজের প্রেমিকের কাছে কোন কথা বলা উচিৎ এবং কোন কথা বলা উচিৎ নয় এই নিয়ে প্রেমিকাকে মোটেই চিন্তা করতে দেখা যায় না। কিন্তু এই ব্যাপারটি অবশ্যই জানা উচিৎ প্রত্যেক মেয়ের। কারণ মুখ থেকে বের হওয়া সামান্য কথা সম্পর্কে আনতে পারে অন্যরকম মোড়।

বলিউড স্টার কে কত রুপি নেন?

বলিউড স্টার কে কত রুপি নেন?

295ঢাকা : বলিউডের প্রিয় তারকা-অভিনেতাদের আয় সম্পর্কে জানার জন্য সবারই কম বেশি আগ্রহ থাকে। তাই এক দিন, মাস কিংবা বছরে নামী-দামী তারকারা কত আয় করেন, তা নিয়ে জরিপেরও শেষ নেই।
এমনি একটি জরিপের তথ্য শেয়ারনিউজ পাঠকদের জন্য উপস্থাপন করা হলো:-
শাহরুখ খান
প্রতি ছবিতে কিং খান ৪০ কোটি রুপি করে নেন। এর সঙ্গে আবার ছবির মুনাফাও যোগ হয়। প্রতিটি বিয়ে ও স্টেজ শোর জন্য নেন তিন কোটি রুপি করে। যেকোনো অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই দুই কোটি রুপি আয় করেন তিনি।
হৃত্বিক রোশন
প্রতি ছবিতে ২৫ কোটি রুপি নেন বলিউডের এই ‘কৃষ’ তারকা। প্রতিটি বিয়ে ও স্টেজ শোর জন্য নেন দুই কোটি রুপি করে। যেকোনো অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই দেড় কোটি রুপি।
ক্যাটরিনা কাইফ
ছবির জন্য ছয় কোটি রুপি করে নেন। বিয়ে ও স্টেজ শোর জন্য ক্যাটরিনা নেন আড়াই কোটি রুপি করে। যেকোনো অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই এক কোটি রুপি।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া
ছবিতে সাত কোটি রুপি করে নেন। বিয়ে ও স্টেজ শোর জন্য নেন আড়াই কোটি রুপি করে। অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই এক কোটি রুপি।
অক্ষয় কুমার
ছবিতে ৩৫ কোটি রুপি। বিয়ে ও স্টেজ শোর জন্য নেন আড়াই কোটি রুপি। যেকোনো অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই দেড় কোটি রুপি।
রনবীর সিং
ছবিতে ১০ কোটি রুপি। বিয়ে ও স্টেজ শোর জন্য নেন এক কোটি রুপি। চেহারা দেখিয়েই ৭০ লাখ রুপি।
আনুশকা শর্মা
ছবিতে ছয় কোটি রুপি। বিয়ে ও স্টেজ শোর জন্য নেন ৭০ লাখ রুপি। একবার চেহারা দেখিয়েই ৫০ লাখ রুপি।
কারিনা কাপুর খান
ছবিতে কারিনা নেন আট কোটি রুপি করে। যেকোনো অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই ৬০ লাখ রুপি।
দীপিকা পাড়ুকোন
ছবিতে আট কোটি রুপি। যেকোনো অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই এক কোটি রুপি।
রনবীর কাপুর
ছবিতে ২০ কোটি রুপি। যেকোনো অনুষ্ঠানে একবার চেহারা দেখিয়েই দুই কোটি রুপি।
http://banglanews26.com/মনি
http://shapnopuron.blogspot.com/