শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

গৌরনদীতে শিশু ধর্ষণ করে মোবাইলে ধারণ : ধর্ষক কিশোর গ্রেফতার : না.গঞ্জে ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় স্বামীসহ ধর্ষিতাকে পিটুনি

ডেস্ক রিপোর্ট
ক্যাপশন যুক্ত করুন
গৌরনদীতে বাক-প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করে চিত্র মোবাইল ধারণ করায় এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদিকে নারায়ণঞ্জ বন্দরে স্ত্রীকে ধর্ষণের বিচার চাওয়ায় স্বামীসহ ধর্ষিতাকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে।
গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি জানান, বরিশালের গৌরনদী পৌরসভার বড় কসবা গুচ্ছ গ্রামের দুস্থ এক বাক-প্রতিবন্ধী শিশুকে (১১) ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করার অভিযোগে পুলিশ গতকালের সকালে বেল্লাল হাওলাদার (১৪) নামের এক কিশোর ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ধর্ষিতা শিশুকে গতকাল দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়কসবা গ্রামের বেল্লাল হাওলাদারের নেতৃত্বে ৩ বখাটে কিশোর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৫টার দিকে দুস্থ বাক-প্রতিবন্ধী শিশুকে (১১) ফুসলিয়ে উপজেলার বড় কসবা গুচ্ছগ্রামের পার্শ্ববর্তী সোবাহান তালুকদারের পাকা ছাদবিহীন একটি ঘরের মধ্যে নেয়। সেখানে কিশোর বেল্লাল হাওলাদার প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণ করে।
এ সময় তার সহযোগী পার্শ্ববর্তী কালকিনি উপজেলার রমজানপুর গ্রামের কিশোর রাসেল সরদার, বেল্লাল হোসেন ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ভিডিও করে। পরদিন ধর্ষক ও তার সহযোগীরা ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধর্ষিতার বাবা মাকে দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে ধর্ষক ও তার ২ সহযোগীসহ ৪ জনকে আসামি করে গতকাল সকালে গৌরনদী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করে।

গৌরনদী অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল কালাম জানান, গতকাল দুপুরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সস্পন্ন হয়েছে। ধর্ষক বেলাল হাওলাদারকে গতকাল দুপুরে বরিশাল জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।
আমাদের স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, স্ত্রীকে ধর্ষণের বিচার চাওয়ার অপরাধে ধর্ষক এবং তার পরিবারের পিটুনিতে স্বামীসহ গুরুতর আহত হয়েছে ওই ধর্ষিতা নারী। গতকাল সকালে বন্দর উপজেলার চৌরাপাড়া এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে বন্দর থানায় মামলা করেছেন।
বন্দরের চৌরাপাড়া এলাকার আয়নাল হকের বাড়িতে স্ত্রী নিয়ে ভাড়ায় বসবাস করেন এক রিকশাচালক। গত শুক্রবার তিনি স্ত্রীকে রেখে গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালি যান। এ সুযোগে গভীর রাতে ওই স্ত্রীকে বাড়িওয়ালার ছেলে রুহুল ধর্ষণ করে। গত মঙ্গলবার রিকশাচালক বাড়ি ফিরে এলে ঘটনাটি স্ত্রীর কাছ থেকে সে জানতে পারে। পরে গত বুধবার সে স্থানীয়দের এ ঘটনা জানিয়ে বিচার দাবি করে। এদিকে গতকাল এর জেরে বাড়িওয়ালা আয়নাল হক, তার স্ত্রী তাসলিমা, ধর্ষক রুহুল, রুহুলের ছোট ভাই সুমন ও তাজুল ইসলাম এবং বোন আকলিমা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে রিকশাচালক ও তার স্ত্রীকে গুরুতর আহত করে।
বন্দর থানার ওসি আক্তার মুর্শেদ জানান, এ ঘটনায় ধর্ষিতা নিজেই বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতারের উদ্যোগ নিচ্ছে।
ক্যাপশন যুক্ত করুন
 

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন