বৃহস্পতিবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে রাতভর গনধর্ষণ

ক্যাপশন যুক্ত করুন

গৃহবধূকে হাত পা বেঁধে রাতভর গনধর্ষণ

rapeনারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অসুস্থ এক গৃহবধূকে (২০) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ৮-১০ লম্পট রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগে আদালতে পিটিশন করা হয়েছে। ধর্ষণের পর লম্পটেরা গৃহবধূকে মারধর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।বুধবার দুপুরে ওই গৃহবধূ নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলার পিটিশন করতে এসে জখমের কিছু স্থান দেখালে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। পরে আদালত পিটিশন মঞ্জুর করে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেন। সোমবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্র জানায়, মামলার পিটিশন করা বাদী ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জ সিআই খোলা এলাকাতে। তার স্বামী একজন রিকশা চালক।বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শাহ মাজহার জানান, গত সোমবার রাত ৮টায় গৃহবধূ সিআই খোলা এলাকা থেকে এসও রোড এলাকাতে শ্বাশুড়ির বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে মুনলাইট সিনেমা হলের সামনে এলে কয়েকজন লোক তার পথ আটকে দেয়।
পরে ওই লম্পটেরা গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে মুনলাইট সিনেমা হলের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে নিয়ে হাত পা বেধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। গৃহবধূ নিজেকে অসুস্থ জানালেও কর্ণপাত করেনি লম্পটেরা। এসময় তারা গৃহবধূকে মারধর, ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়িয়ে আহত করে। পরদিন সকাল ৬টায় গৃহবধূকে রাস্তার পাশে ফেলে দেয়। পরে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেয় সে। পরিবারের বরাত দিয়ে আইনজীবী জানান, ঘটনার পর গৃহবধূ থানায় গিয়ে মামলা করার কথা বললেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
এ কারণে বুধবার ওই গৃহবধূ আদালতে এসে মামলার জন্য পিটিশন দেয়। এ সময় গৃহবধূ তার শরীরের বিভিন্ন জখমের কিছু চিহ্ন দেখায়। আদালতে উপস্থিত লোকজন তা দেখে আৎকে উঠে। বিচারক লুৎফা বেগম নিজেও নির্যাতনের দৃশ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মামলার পিটিশনে ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এরা হচ্ছে- মনির, মান্নান, রাসেল, রাজু ও আবদুল কাদের। এছাড়াও আরো ৪-৫ জন ছিল। আসামিদের সবার বাড়ি সিদ্ধিরগঞ্জের শিমুলপাড়া এলাকাতে। বিচারক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন।

বাংলা নিউজ 26.com /সানজানা          

1 টি মন্তব্য :