সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

নিজেকে করে তুলুন “অসাধারণ” আকর্ষণীয়

নিজেকে করে তুলুন “অসাধারণ” আকর্ষণীয়

262নিজেকে একটু আকর্ষণীয় এবং সুন্দর করে উপস্থাপন করতে কার না মন চায়। নিজেকে আকর্ষণীয় এবং সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের মানে এই নয় যে ভালো ফ্যাশানেবল পোশাক পরে এবং মেকআপ করে উপস্থাপন করতে হবে। আপনি নিজেকে হাসিখুশি এবং প্রাণবন্ত একজন মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করতে পারলেও আপনাকে দেখাবে অসাধারণ আকর্ষণীয়।
শুধুমাত্র প্রাণবন্ত চলাফেরা এবং সবার সাথে হাসিখুশি ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাবেন আপনি নিজেও। এই কাজগুলো করে আপনি অন্যের সামনে নিজেকে আকর্ষণীয় উপস্থাপনের পাশাপাশি নিজেও অনুভব করবেন অনাবিল আনন্দ। আসুন তবে দেখে নেয়া যাক সেই সব কাজ সমূহ যা আপনাকে করবে অসাধারণ আকর্ষণীয়।

মনের সব নেতিবাচক চিন্তা বিসর্জন দিন

কোনো ঘটনাকে ভালো এবং খারাপের মাপকাঠিতে বিচার করা ছেড়ে দিন। আপনার জীবনে যা ঘটে গেছে তার মধ্যে কী ভালো ছিল এবং কী খারাপ ছিল এই চিন্তা একেবারে বাদ দিন।
এতে করে আপনি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ আনন্দময় করে তুলতে পারবেন। কোনো নেতবাচক চিন্তা মনে ঠাই দেবেন না। মনে রাখবেন, ‘যা হয় ভালোর জন্যই হয়’। হয়তো ভালোটা আপনার বর্তমানে চোখে পড়ছে না কিন্তু পরবর্তীতে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। তাই শুধু শুধু নেতিবাচক চিন্তা করে মন খারাপ করে থাকবেন না। আপনার এই নেতিবাচক মনোভাব আপনার ওপর অনেকটা প্রভাব ফেলে যা আপনাকে অসাধারণ মনোমানসিকতার ব্যক্তিত্ব থেকে সাধারণ করে তোলে। আপনার জীবনে প্রতি ইতিবাচক চিন্তাধারা আপনাকে করে তুলবে ঈর্ষনীয় আকর্ষণীয়।

পছন্দের গান গুনগুন করুন

একই জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করছেন? ৫ টি মিনিট সময় বের করুন। উঠে হাঁটাহাঁটি করুন আর গুনগুন করুন পছন্দের গানটি। নিজেকে অনেক বেশি উৎফুল্ল পাবেন যা কাজের মধ্যে হারিয়ে গিয়েছিল। সাইকোলজিস্টদের মতে নিজের পছন্দের গানের মধ্যে এক ধরণের মন ভালো করার শক্তি থাকে যা যে কোনো মুহূর্তে এবং যে কোনো সময়ের মানসিকচাপ মুক্ত করার জন্য যথেষ্ট। আর আপনি উৎফুল্ল তো আশেপাশের মানুষের কাছে আপনি আকর্ষণীয়।

আয়নার সামনে ছেলেমানুষি করুন

ছোট বেলায় আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে মুখাভঙ্গি করেন নি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার। সেই কাজটিই করুন। ছেলেমানুষ হয়ে যান খানিকটা সময়ের জন্য। এতে যে যাই ভাবুক না কেন আপনি নিজের মানসিক চাপ নিমেশে দূর করতে পারবেন। মন থাকবে ফুরফুরে। আপনার এই ফুরফুরে মেজাজ সকলের নজর কাড়তে বাধ্য। সুতরাং চেষ্টা করেই দেখুন না।

মেরুদণ্ড সোজা রেখে হাঁটুন এবং বসুন

আপনি যখনি হাঁটবেন এবং বসবেন তখনই মেরুদণ্ড সোজা করে রাখার চেষ্টা করুন। কারণ আপনার গা এলিয়ে বসা এবং পিঠ বাকা করে হাঁটা আপনাকে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত এবং মানসিক চাপে বিধ্বস্ত হিসেবে উপস্থাপন করে। যদি আপনি আসলেই মানসিক চাপে পরিশ্রান্ত হয়ে থাকেন তবে কেন আপনি তা অন্যকে দেখিয়ে করুনার পাত্র হবেন? এর চাইতে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী এবং আত্মনির্ভরশীল মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করুন। আপনি হতে পারবেন সকলের কাছে একজন আইডল।

একপায়ে দাঁড়ান

ছোটবেলায় একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা ছিল একধরনের শাস্তি। কিন্তু এই শাস্তি ছিল আমাদের দেহের জন্য বেশ ভালো। কারণ এক পায়ে দাঁড়ানো তাৎক্ষণিক ভাবে দেহে এনার্জি আনতে সক্ষম। একপায়ে দাঁড়ানোকে যোগব্যায়ামের সাথে তুলনা করা যায়। যদি নিজেকে একেবারে ক্লান্ত মনে হয় উঠে দাঁড়ান, এক পায়ে দাঁড়ান খানিকক্ষণ। এতে দেহের সাথে মনের যোগাযোগ ভালো হয় বলেন যোগ ব্যায়াম বিশারদগণ। এতে মন ভালো হয় সাথে সাথে। নিজেকে উপস্থাপন করতে পারবেন আকর্ষণীয় প্রাণবন্ত একজন মানুষ হিসেবে।
http://banglanews26.com/ঢাকা /পিনটু
https://www.facebook.com/

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন