বাবার হাতে ধর্ষিত হলো মেয়ে
ঢাকা:ভারতে
এবার নিজের বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে স্কুলগামী এক কিশোরী।
হরিয়ানা রাজ্যের সোনেপাত গ্রামের ওই কিশোরী পুলিশকে জানায়, তার বাবা তাকে
উপর্যুপরি ধর্ষণ করেছেন। এ ঘটনায় ধর্ষক বাবাকে আটক করেছে রাজ্য পুলিশ।
দিল্লি থেকে এক ঘণ্টারও কম দূরত্বে
অবস্থিত সোনেপাতের এই কিশোরী পুলিশের কাছে তার উপর ঘটে যাওয়া নৃশংস এই
অত্যাচারের ঘটনা তুলে ধরে। সে জানায়, বেশ কয়েক মাস আগে গ্রামের কয়েক জন
ছেলের হাতে দু দুবার গণধর্ষণের স্বীকার হয় সে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত
যুবকদের সবাইকে গ্রেপ্তার করে।
কিন্তু এ ঘটনার পর মেয়ের পাশে দাঁড়ানোর
বদলে তাকে ধর্ষণ করেন তার বাবা। এভাবে ঘরে বাইরে চরম নীপিড়নের শিকার হয়
আসহায় মেয়েটি। শেষে স্থানীয় এক এনজিও’র সহায়তায় সে থানায় যায় এবং বাবার
বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে।
মেয়েটি এক বিবৃতিতে জানায়,‘গত
সেপ্টেম্বর মাসে আমার বাবা প্রথম আমাকে ধর্ষণ করেন। এরপর তিনি আমাকে ভয়
দেখিয়ে বলেন, এ ব্যাপারে কারো কাছে মুখ খুললে তিনি আমাকে মেরে ফেলবেন। আমার
স্কুলে যাওয়ার খুব শখ। কিন্তু বাবা আমাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় নামাতে
চায়।’
এ সময় সে পুলিশের কাছে সাহায্য চেয়ে বলে, ‘দয়া করে আপনারা আমাকে বাঁচান।’
বিবৃতিতে সে আরো জানায়, সে আর বাড়ি
ফিরতে চায় না এবং ওই বাবার সঙ্গে এক ছাদের নিচে থাকতে চায় না। বর্তমানে সে
ওই এনজিও’র কাছে আশ্রয় নিয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে তার বাবাকে গ্রেপ্তার
করেছে পুলিশ।
এদিকে মেয়েটির মা বলছেন, তার বাড়িতে ঘটে যাওয়া এসব ঘটনার তিনি কিছুই জানেন
না। মেয়েও তাকে কিছু জানায়নি। এখন অবশ্য সবকিছু জানার পর তিনি অভিযুক্ত
স্বামীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে
২০১২ সালের ডিসেম্বর মাসে এক চলন্ত বাসে গণধর্ষণের শিকার হয়ে মারা যায় এক
মেডিকেল ছাত্রী।এ ঘটনার পর দেশটিতে নারীদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমাতে কঠোর আইন
করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও দেশটিতে ধর্ষণসহ নানা নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেই
চলেছে।
স্বাধীনবাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকম/ঢাকা/কু/শুভ্র
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন